ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মফস্বলেও বিকশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
মফস্বলেও বিকশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং

ফেনী: সরকার যে কয়টি বিষয়ের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করছে তার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি অন্যতম। সরকারের এই উদ্যোগের কারণে শুধু রাজধানী কিংবা বিভাগীয় শহরেই নয় মফস্বল এবং জেলা শহরগুলোতেও বিকশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।

মফস্বলে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাজ করছে তরুণ-তরুণীরা। এখানে কাজ করে আয় করে সংসারও চালাচ্ছে অনেকে। আজ তুলে ধরছি ফ্রিল্যান্সিংয়ে মফস্বল শহর ফেনীর তরুণ- তরণীদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প।  

নির্ভরতা এবং আস্থার দিক থেকে ফেনীতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ফেনীতে বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েব পেজের মাধ্যমে অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছেন।  

সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের আওতায় সরকারিভাবে ফেনীর ৫৪০ জন ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোনেমা আক্তার।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পেরেছেন ফৌজিয়া আক্তার। তিনি ফেনী কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্সও শেষ করেছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে স্বাবলম্বী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপও পেয়েছেন তিনি।

আইসিটি খাতে নিজের আস্থার কথা উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখার নোটিশটা দেখতে পাই, সে থেকে আমার আগ্রহ জন্মেছিল শিখার জন্য।  

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। মার্কেটপ্লেস ডেভেলপমেন্ট করে উপার্জন করা, সোশ্যাল ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল মার্কেটিংসহ অনেকগুলো কাজ আমাদের শিখানো হয়েছে। সরকার আমাদের নিখরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে নিজে স্বাবলম্বী হচ্ছি পাশাপাশি বেকারত্ব ও দূর হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে মার্কেটপ্লেস থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ডলার আয় করছি। পাশাপাশি এর বাইরেও বিভিন্ন কাজ করছি। এতে প্রতি মাসে গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার আয় হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখে বছরে ১৯ হাজার ডলার আয় করেন দাগনভূঞা সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিটিউট এর শিক্ষার্থী শ্রী রূপা দেবী। নিজে ব্যক্তিগতভাবে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের মাধ্যমে আমি এই কোর্স সম্পর্কে জানতে পারি। পরে আমি প্রশিক্ষকদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন নিখরচে কোর্সটি শুরু করি তখনও আমি জানতাম না যে আজকের এই পর্যায়ে আমি আসতে পারবো। প্রশিক্ষণের মাঝামাঝি সময়ে ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে আয় শুরু করি। আমার প্রথম আয় ছিল ১০ জিবিবি মাত্র। তা থেকে বর্তমানে আমি বছরব্যাপী ১৯ হাজার ডলার আয় করছি।

ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার নাহির আহমেদ। তিনি ইংরেজি বিষয়ের ওপর অনার্স করছেন।

নিজের ক্যারিয়ারের সফলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেনীতে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে এই কাজ শিখেছি। ডিজিটাল মার্কেটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে বর্তমানে মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ ডলার আয় করছি। এতে আমি নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই বহন করতে পারছি পাশাপাশি পরিবারকেও দিতে পারছি।

নাহির বলেন, আমাদের সঙ্গে অনেকেই আছে যারা এটাকে ছোট করে দেখেন। কিন্তু বর্তমানে আমার অবস্থান দেখে অনেকেই এই কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। বেকার বসে না থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ শিখে রাখলে সব দিক দিয়েই ভালো।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান মাল্টিসফট আইটির সিইও কাজী আবিদুর রহমান বলেন, ফেনীতে তরুণ-তরুণীদের শেখার আগ্রহ বাড়ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যুব উন্নয়নের মাধ্যমে ৯০ জনকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বেসরকারিভাবেও করোনায় আমরা এক হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে তরুণীদের ও আগ্রহ বাড়ছে। শুধু তরুণীদের জন্য আলাদা ব্যাচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ১৫ জন তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে আয় করছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে শিক্ষিত তরুণদের সংখ্যা অনেক। তারা পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখে এতে তারা আর্থিকভাবেও সফল হবে ও চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন।  

সিইও কাজী আবিদুর বলেন, কেউ যদি ধৈর্য ধরে এই পেশায় লেগে থাকতে পারে তাহলে তার চাকরির জন্য দৌড়াতে হয় না। সরকার এই পেশায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক মর্যাদা দিয়েছে। সরকার থেকে যদি টাকা উত্তোলনের বিষয়টা আরও সহজ করে দেয় এতে করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আরও সুবিধা হবে। এ সময় তরুণ সমাজকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় করার পরামর্শ দেন তিনি।

সহযোগিতা করছে সরকার:

আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্ট এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে আলাদা প্রশিক্ষণ। কাজের মনোবল বাড়াতে দেওয়া হচ্ছে উপহার।  

এ ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নধীন ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনলাইন প্রফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণে সফল ফেনীর ৫২ জন ফ্রিল্যান্সারদের  প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এই প্রজেক্টের আওতায় এখন পর্যন্ত ফেনীতে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৫৪০ জন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোনেমা আক্তার বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের আওতায় ৫৪০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ৫২ জনকে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে। কয়েক বছর ধরে দেশের তরুণরা সফলভাবে এ কাজে যুক্ত হচ্ছেন। যদিও আগে এই পেশায় শিক্ষিত বেকার তরুণদের খুব একটা আগ্রহ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে এখন অনেক তরুণ-তরুণীই অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারছেন। ফলে অনেকের আগ্রহের জায়গা এখন আউটসোর্সিংয়ে।

সৃষ্টি হচ্ছে অনলাইন ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র:

ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি অনলাইনে যাবতীয় হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক তরুণ-তরুণী। যাকে বলা হয় অনলাইন বিজনেস, যা আউটসোর্সিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে করোনাকালীন থেকে এই পেশায় ঝুঁকছে অনেক তরুণ ও তরুণী। তবে এই পেশায় বেশিরভাগ নারীরা সময় দিচ্ছে বেশি। কেউ জামা কাপড় তৈরি করে বিক্রি করছেন। কেউবা নারীদের যাবতীয় গহনা, মেহেদী, পাটের তৈরি জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প, মিষ্টি, কেকসহ অনেক কিছু তৈরি করে বিক্রি করছেন। এতে স্বাবলম্বী হয়ে সফলতা অর্জন করছে অনেকজন।

শামীমা আফরোজা শিমু, সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের একজন নারী উদ্যোক্তা। নিজে উদ্যক্তা হয়ে অন্য নারীদের জন্যও কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। অনলাইনে আয় করে স্বাবলম্বী হয়ে ২০২১ সালে "অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী যে নারী" এই ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে জয়ীতা পুরস্কার পেয়েছেন।

নিজের সফলতার কথা উল্লেখ করে শামীমা বলেন, আমার ‘আফরোজা কালেকশন’ নামে একটি ফেসবুক পেজ আছে যার মাধ্যমে আমি সেলাইয়ের অর্ডার নিয়ে থাকি। সে কাজের মধ্যে রয়েছে বাহারি রঙের নকশীকাঁথা, মেয়েদের সব ধরনের জামা, জামার মধ্যে বিভিন্ন হাতের কাজ করা, শিশুদের বিভিন্ন ড্রেসসহ আরও অনেক কিছু। সেলাইয়ের পাশাপাশি খাবার জাতীয় বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠান শামীমা। তার মধ্যে রয়েছে আচার, গুড়, নারিকেল পিঠাসহ বিভিন্ন রকমের পিঠা এবং সোনাগাজীর বিখ্যাত মহিষের দই।

তিনি বলেন, বেকার বসে না থেকে নিজের কাজের মাধ্যমে আয় করছি। এতে নিজে স্বাবলম্বী হচ্ছি পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারছি।
বেকার বসে না থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মৌসুমী ফলের ব্যবসা করছেন অনেক তরুণ। যারা নাটোর রাজশাহী অঞ্চল থেকে আম, লিচু অর্ডার দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

মৌসুমী ফলের ব্যবসা করছেন ফেনী কলেজের ছাত্র নাজমুক হক সজীব। নিজে চাকরি করেন, চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসা করছেন তিনি।

নিজের ব্যবসা সম্পর্কে সজীব বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে এই ব্যবসা শুরু করেছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক সাড়া পাচ্ছি। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমার অর্ডার নিয়ে বাগান মালিক থেকে আম ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এতে চাকরির পাশাপাশি আলাদা কিছু আয় করতে পারছি।

সমানতালে এগোচ্ছেন নারীরাও:

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। ঘরে বসেই পড়ালেখার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করছে তারা। কেউ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করছে কেউবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব পেজ খুলে নিজেদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। বর্তমানে কেনাবেচার অন্যতম বড় মাধ্যম অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটা। এতে সাফল্য পাচ্ছেন বহু নারী। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে অনেক নারী পেয়েছেন জয়িতা সম্মাননা।

তাছরীন আলম রিনভী ফেনী কলেজের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে ছাত্রী। ফেনীর মিজান রোডের বাসিন্দা রিনভী পরিচিত প্রবাসী বড় ভাই এর মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ থেকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে ২০২০ সাল থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয় করছেন তিনি। বর্তমানে তার গড় আয় ১০০ ডলার।

অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে প্রসারিত করেছেন পাটেরশ্বরী হস্ত শিল্পের মালিক বৃষ্টি পাল। নিজের সংগ্রামী জীবন কাটাতে গিয়ে বেছে নেন উদ্যাক্তা হয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করার। অনলাইনে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এই নারী। পাশাপাশি স্বাবলম্বী ও নারী উদ্যাক্তা ক্যাটাগরিতে সরকারিভাবে ভারত ও নেপাল ভ্রমণ করেছেন তিনি। জেলা পর্যায়ে পল্লী সঞ্চয় সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন বৃষ্টি পাল।

তিনি বলেন, জামা ও কাপড়, গহনা ও বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করি। এতে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, সরকারের তথ্য আপা প্রজেক্টের লাল সবুজ ডট কম এবং অনলাইন নারী উদ্যাক্তাদের প্ল্যাটফর্ম উই এর মাধ্যমে আমার তৈরি জিনিসপত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকেও অর্ডার আসে। যা আত্মীয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাঠাই।

বৃষ্টি পাল বলেন, ফেনীতে এখন এক হাজারেরও অধিক নারী উদ্যাক্তা রয়েছেন। যারা কোনো না কোনো কাজে নিয়োজিত। আমি অনলাইনে আয় করে নিজেকে এবং নিজের পরিবারের খরচ চালাতে পারছি। পড়ালেখা শেষ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে যা আয় করি তা একজন নারীর জন্য অনেক বেশি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।