ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশ গড়ার পরতে পরতে বঙ্গবন্ধুর অবদান: মোস্তফা জব্বার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
বাংলাদেশ গড়ার পরতে পরতে বঙ্গবন্ধুর অবদান: মোস্তফা জব্বার ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ গড়ার পরতে পরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।  

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা’ শীর্ষক শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

নিউজ নাউ বাংলা ও জাগরণ টিভির উদ্যোগে শোক দিবসের এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মোস্তফা জব্বার বলেন, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে ও বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ স্থাপন করার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান রয়েছে। দেশের রাষ্ট্র গঠনের এমন কোনো জায়গা বাদ নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর হাত নেই। বাংলাদেশকে আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করতে সবখানেই বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ গড়ার পরতে পরতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবদান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ঐতিহাসিক বিষয়গুলো স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমার দায়িত্ব ছিলো ডাক টিকেট প্রকাশ করা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা এই কাজটি শুরু করলাম। শতাধিক ডাক টিকেট প্রকাশ করে দেখি বঙ্গবন্ধুর জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ বাদ পড়ে গেছে। পরবর্তী সময় আমি বললাম যে, বঙ্গবন্ধুর ‘৭২ থেকে ‘৭৫ পর্যন্ত সময়ের ঐতিহাসিক কোনো কিছু যেন বাদ না পরে। ডাক বিভাগ তালিকা করে আমাকে দিল, আমি দেখলাম, এগুলো প্রকাশ করতে গেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আমার যে বাজেট আছে, তাতেও কুলাবে না।

তিনি বলেন, সেখানে দেখেছি আমাদের রাষ্ট্রের এমন কোনো বিষয়ে বাদ নেই যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হস্তক্ষেপ হয়নি। আমরা দেখেছি ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপনও বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই হয়েছে।

‘ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন, যেটি সারাবিশ্বের পোস্টাল সার্ভিসকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সেটিরও সদস্য করেছেন বঙ্গবন্ধু। ’ যোগ করেন মন্ত্রী।  

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উড়াতে হবে। ফ্রান্স আমাদের স্যাটেলাইট বানিয়ে দিবে, আমেরিকা তা আকাশে উঠাবে। কিন্তু সেই স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আমাদেরকে। আমাদের প্রয়োজন গ্রাউন্ড স্টেশন। আমাদের দুটো গ্রাউন্ড স্টেশন আছে একটি গাজীপুরে অপরটি রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বেতবুনিয়ায় যে গ্রাউন্ড স্টেশনটি স্থাপন রয়েছে সেটি ১৯৭৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখে গেছেন। তার মানে হলো বিশ্বের সঙ্গে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে যুক্ত করার বিষয়টি রাষ্ট্র গঠনের সময় তিনি নির্ধারণ করেছিলেন। আর সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, এমনভাবে যত কিছুই আমরা খুঁজতে যাব আমরা দেখতে পাবো যে, এগুলোর শুরু করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর অবদানের বাইরে আমরা আসলে ১ ইঞ্চিও গড়ে উঠতে পারিনি।


মোস্তফা জব্বার বলেন, একাত্তরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ছিলো৷ তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছেন, পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করছে। এখনও কিন্তু ওই শক্তি সক্রিয় আছে।

তিনি বলেন, ’৭৫-এ ওই শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে যায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, এই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে আরেকটি পাকিস্তান হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা। এখনো সেই ষড়যন্ত্র করেই চলছে একটি গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরও ২১ বারেরও বেশি হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ওই গোষ্ঠী। এতেই স্পষ্ট বোঝা যায়, যদি শেখ হাসিনা না থাকে তবে বাংলাদেশে অস্তিত্ব থাকবে না। বাংলাদেশ নামটা যদিও থাকে তবে সেটি পাকিস্তানে পরিণত হবে। এই দেশকে আমরা কোন অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে নিয়ে যেতে দেব না।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে বীজ বপন করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১- এই সমযয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এসজেএ/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।