ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্টের কাছে ওবামার দুঃখ প্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১০
গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্টের কাছে ওবামার দুঃখ প্রকাশ

ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গবেষণার জন্য শুক্রবার ব্যক্তিগতভাবে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্টের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৯৪০ সালে পরিচালিত ওই গবেষণায় বলা হয় গুয়েতেমালার শত শত বাসিন্দা যৌন-বাহিত রোগে আক্রান্ত।



ওবামা টেলিফোনে আলাপকালে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট আলভ্যারো কুলুমের কাছে এ গবেষণার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি সমবেদনা জানান।

এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন বৃহস্পতিবার টেলিফোনে নিন্দাজনক এ গবেষণার জন্য কুলুমের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষোভ ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।  

শুক্রবার প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে কিনটন ও স্বাস্থমন্ত্রী ক্যাথলিন সিবিলিয়াস এ গবেষণাকে পুরোপুরি অনৈতিক বলে উল্লেখ করেন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি তারা সমবেদনা জানান।

এর আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কুলুম এ গবেষণার নিন্দা জানিয়ে একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন।   তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে বলেও জানান।

তবে এ মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরই অনেক নমনীয় হয়ে তিনি বলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নয় বলে আমরা জানি। এটা অনেক আগে সংঘটিত হয়েছিল। ’

১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষকরা গুয়েতেমালায় এ গবেষণা পরিচালনা করেন।

উইলিসলি কলেজের অধ্যাপক সুসান রির্ভারবি অপ্রত্যাশিতভাবে কাগজপত্র আবিষ্কারের পর গবেষণাটি সবার নজরে আসে। বিতর্কিত মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক জন কার্টলারের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণাটি কখনই প্রকাশিত হয়নি।  

যৌন-বাহিত রোগ প্রতিরোধে পেনিসিলিনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য কার্টলার ও তার সহকর্মীরা ১৯৪০ সালে গুয়েতেমালার মানসিক রোগীসহ তালিকাভুক্ত জনগণের ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন।  

কলিনস সাংবাদিকদের বলেন, ‘গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের এতে সম্মতি দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। তাদের নিয়ে কি করা হচ্ছে এ বিষয়ে প্রায়ই তাদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখা হতো। এ ধরনের গবেষণা নৈতিকতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ’

প্রায় ১ হাজার ৫০০ ব্যক্তি এ গবেষণায় অংশ নেয় এবং গবেষণা চলাকালে এরমধ্যে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়। তবে গবেষণার পরীক্ষা বা মেডিক্যাল সমস্যার জন্য তার মৃত্যু হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দ্য প্যান আমেরিকান স্যানেটারি ব্যুরোর পরবর্তী সংস্করন দ্য প্যান আমেরিকান হেলথ ওরগানাইজেশন এ গবেষণার জন্য এনআইএইচ এর কাছ থেকে বড় আকারের অর্থ নেয়। তবে ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর তারা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং গবেষণার আসল উদ্দেশ্য জানার জন্য তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।