আবদুল রহমান হাসান আহমেদ হারদান, বয়স ১৬। ফিলিস্তিনের জেনিনে চালানো সর্বশেষ ইসরায়েলি হামালায় নিহত ১২ জনের মধ্যে সে একজন।
সামরিক অভিযানের নামে চালানো হামলায় ইসরায়েল দাবি করেছে, নিহত ফিলিস্তিনিরা সবাই যোদ্ধা। তারা সশস্ত্র ছিল।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও হারদানের পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, নিহত হারদান নিরস্ত্র ছিল। ‘বিনা কারণে’ ইসরায়েলি বাহিনী তাকে হত্যা করেছে।
হারদানের মৃত্যুর মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, তাকে যখন গুলি করা হয়েছিল তখন সে নিরস্ত্র ছিলেন। সামরিক আগ্রাসনের দ্বিতীয় দিনে আল-আমাল হাসপাতালের বাইরে কিশোরটির মাথায় গুলি করা হয়েছিল।
বিবিসির পক্ষ থেকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচ্টকে গত সপ্তাহের হতাহতের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। ওইসময় তিনি বলেছিলেন, এই সামরিক অভিযানে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই সরাসরি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোরকে নাবালক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু তার কাছে অস্ত্র রয়েছে। এবং সে গুলি করছে... আমরা সেই প্রমাণ দেখাতে পারি। আমাদের কাছে তাদের সবার ছবি আছে।
যদিও ইসরায়েল এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলে দুই দিনের আগ্রাসনে ১২ জন মারা যায়। এদের মধ্যে শিশু-কিশোরও ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এমএইচএস