ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিকলেনের দেয়ালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান ঘিরে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
ব্রিকলেনের দেয়ালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান ঘিরে বিতর্ক

লন্ডনে ব্রিকলেনের একটি দেয়ালে চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির মতাদর্শের স্লোগান ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ দিনে একদল লোক ব্রিকলেনের সাদা দেয়ালে লাল রঙের স্প্রে দিয়ে চীনা ভাষায় বড় বড় করে  স্লোগানগুলো লিখছে।

তাতে ১২টি করে দুই অক্ষরের শব্দ দিয়ে গঠিত চীনের ‘মূল সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ লেখা হয়েছে, যা চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনামলের সবচেয়ে প্রচলিত রাজনৈতিক স্লোগান।

ব্রিকলেনের দেয়ালে এই স্লোগান দেখা যাওয়ার পর অনলাইনে বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, এগুলোকে আসলে ‘স্ট্রিট আর্ট’ বা দেয়াল লিখন শিল্প হিসাবে গণ্য করা হবে কি না এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে কীভাবে রাজনৈতিক প্রচারণাকে মিলিয়ে ফেলা হলো।

তবে এই স্লোগান দেখা যাওয়ার পর ব্রিকলেনের দেয়ালটি ভিন্ন মতাদর্শের শ্লোগান লেখার একটি জায়গা হিসাবে তৈরি হয়েছে। ওই স্লোগানের পাল্টা হিসেবে চীনের সরকারের সমালোচনা করে নতুন গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। আবার কেউ কেউ সেসব স্লোগানের সামনে একটি ‘না’ যুক্ত করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের বার্তা লিখেছেন অনেকে।

কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন যে, দেয়ালে থাকা আগের গ্রাফিতিগুলো ঢেকে দিয়েছে চীনা স্লোগান। এসব গ্রাফিতির মধ্যে একজন বিখ্যাত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন হিসাবে আঁকা কিছু গ্রাফিতি ছিল, যিনি মারা গেছেন।
 
চীনের রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহারের রীতি চালু হয়েছিল শি জিনপিংয়ের পূর্বসূরি হু জিনতাওয়ের সময় থেকে। তখন প্রকাশিত সমাজতান্ত্রিক স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র, সভ্যতা, সম্প্রীতি, স্বাধীনতা, সাম্য, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, দেশপ্রেম, উৎসর্গ, অখণ্ডতা ও বন্ধুত্ব।

যদিও ওই স্লোগানগুলোর কারণে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য এসেছে, কিন্তু যারা এগুলো এঁকেছেন, তারা কি গুরুত্বের সঙ্গেই সেটা করেছেন নাকি মজা করেছেন, তা পরিষ্কার নয়।

শিল্প জগতে ই কুই নামে পরিচিত নির্মাতা ওয়াং হ্যানঝেং মনে করেন, এগুলোর আসলে তেমন কোনো রাজনৈতিক অর্থ নেই।

চীনে যারা বসবাস করেন, যাদের বেশিরভাগ চীনা সরকারের পক্ষাবলম্বন করে থাকেন, তারা যুক্তি দিচ্ছেন যে, ব্রিকলেনে যা করা হয়েছে, তা মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি উদাহরণ এবং সেটা রক্ষা করা উচিত। কেউ কেউ বলেছেন, এভাবে সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ায় তারা গর্ববোধ করেন।

কিন্তু কোনো কোনো জাতীয়তাবাদী এও প্রশ্ন করেছেন যে, এটি কি ‘হাই-লেভেল ব্ল্যাকের’ একটি নমুনা কি না। ব্রিকলেনের দেয়ালে লেখাটির বিষয়ে চীনের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।