মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল। কণ্ঠভোটে লোকসভায় পরাজিত হলো অনাস্থা প্রস্তাব।
ততক্ষণে অবশ্য বিরোধী সাংসদরা ওয়াক-আউট করে গিয়েছেন। কণ্ঠভোটে ‘হ্যাঁ’-র পক্ষে আওয়াজ কার্যত শোনা যাচ্ছিল না। যখন ‘না’-র পক্ষে মত চান স্পিকার, তখন পুরো গমগম করে ওঠে সংসদের নিম্নকক্ষ।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তথা কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও বিআরএসের সাংসদ নাগেশ্বরা রাও। তবে সেই অনাস্থা প্রস্তাবের সামনে যে মোদি সরকারের যে কোনও সমস্যা হবে না, তা ভালোভাবেই জানতেন বিরোধীরা।
তাও কেন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, মণিপুর নিয়ে সংসদে যাতে মোদী মুখ খোলেন, সেজন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এরইমধ্যে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে তাকে সাসপেনশনের মুখে পড়তে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন অধীর। এ নিয়ে নিজের আসন ছেড়ে উঠে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তুমুল রেগে যান।
অধীরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বিজেপি সাংসদরা দাবি করেন, মোদীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
অধীরের মন্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি মোদি। তবে সার্বিকভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপশব্দ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের গালিগালাজ ও অপশব্দ সত্ত্বেও মন খারাপ করিনি। দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে চলেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
আরএইচ