ভারতের হিমাচল প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। দুই দিনে ধস, আকস্মিক বন্যা ও বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ৫০ জনের প্রাণ গেছে।
সিমলায় ধসের পর একটি মন্দির ভেঙে অন্ততপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সিমলায় দুইটি জায়গায় ধস নেমেছে। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন।
মান্ডিতে আকস্মিক বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। সোলানে আকস্মিক বন্যায় সাতজন মারা গেছেন। মান্ডি জেলার সম্ভলে হড়পা বানে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন।
ওয়ার্ল্ড হেজিটেজের মর্যাদা পাওয়া সিমলা-কালকা রেলপথের কিছু অংশ ভেসে গেছে। পাহাড়ি নদীগুলোর পানি অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছে পৌঁছে গেছে। অনেক সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মোট সাতশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। কিছু রাস্তায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য মেরামতও সম্ভব হচ্ছে না। কালকা-সিমলা রোডও নানা জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ কী করে প্রবল গতিতে পানি নেমে সবকিছু ভাসিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, সবাই যেন বাড়িতে থাকেন। নদীর কাছে না যান। সরকার সবার কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে।
সবশেষ বার্তাসংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, ৫৫ জনের মতো মারা গেছেন। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিমলা, সোলান, মান্ডিসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির আভাস আছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও ধস নেমেছে। নদীর জল বেড়েছে। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরএইচ