ক্রেমলিনের সেনেটের ডোমে বিস্ফোরক বোঝাই ইউক্রেনীয় ড্রোন পৌঁছে গিয়েছিল এই কদিন আগেই। এতে বড়সড় বিপর্যয় অবশ্য ঘটেনি, তবে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভেদ করে ক্রেমলিনে শত্রু ড্রোন ঢুকে পড়া রাশিয়ার জন্য বেশ চিন্তার বিষয় হয়েই দাঁড়িয়েছে।
গত কিছু দিন ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় বার বার নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করতে হচ্ছে রাশিয়াকে। এই সপ্তায় এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়ার সীমান্তবর্তী রাশিয়ার শহর পসকোভের একটি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার ঘটনায় ৪টি বড় পরিবহণ উড়োযান হারায় রাশিয়া। প্রায় এক ডজন ড্রোন এক সাথে এই হামলায় অংশ নেয় বলে রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়।
জানাগেছে, তুর্কমেনিস্তান ঝুঁকি এড়াতে রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এই রকম ড্রোন হামলা চলতে থাকলে, অন্য দেশও এই পথে হাঁটবে।
গত সপ্তাহে মস্কোর বাণিজ্যিক এলাকায় অন্তত চারবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। যার কাছেই রয়েছে মস্কোর দুইটি মন্ত্রণালয় আছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন মস্কোয় ইউক্রেনের ড্রোন দেখা গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
ইউক্রেন এই ধরনের চোরাগুপ্তা হামলায় অস্ট্রেলিয়ার তৈরি কার্ডবোর্ডের ড্রোন ব্যবহার করছে বলে ধারণা হয়। এই ড্রোন গুলো আকারে ছোট হওয়ায় রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম হলেও বড় বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না।
তবে এই হামলাকে কার্যকরী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এর সাহায্যে রাশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখা সম্ভব হয়েছে। আর মস্কোর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যথেষ্ট কার্যকরী কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এমএম