লিবিয়ার বিধ্বস্ত বন্দর শহর ডেরনায় আন্তর্জাতিক সাহায্য ধীরে ধীরে পৌঁছাতে শুরু করেছে। গেল শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ডেনিয়েল দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে আঘাত করে।
লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ইতোমধ্যে বলছে, দশ হাজার লোক অন্তত নিখোঁজ রয়েছেন। নতুন খবর হলো আল-বায়েদা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক আব্দুল রহিম মাজিকের শঙ্কা, বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ২০ হাজারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বন্যা-ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলোয় এখনো মরদেহ সড়কে পড়ে রয়েছে। পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।
ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা সম্পর্কে কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তার চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পূর্বাঞ্চলীয় লিবিয়ার বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হিচেম চকিউয়াত বলেন, ডেরনার সমুদ্র প্রতিনিয়ত কয়েক ডজন লাশ ফেলে দিচ্ছে। পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
লিবিয়ার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, দেরনায় ৩০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এক্সে এক পোস্ট করে আইওএম বলছে, ৬ হাজার ৮৫ লোক বেনগাজিসহ ঘূর্ণিঝড়ের শিকার অঞ্চলগুলোতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রাণহানির সংখ্যা যাচাই করা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
আরএইচ