ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ত গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপের ঘোষণা দিলেন। তিনি বলছেন, কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেবে এবং খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে।
গাজা বর্তমানে ২০০৭ সালে আরোপিত আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরোধের মধ্যে রয়েছে। ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বিদ্যুৎ ও পানির স্বল্পতার মধ্যে রয়েছেন। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবও রয়েছে। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারও চালাতে পারেন না।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আর ইসরায়েলের সেনাদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় শনিবার ভোরে। হঠাৎই হামলা চালিয়ে বসে হামাস। জবাবে ইসরায়েলও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের সাত শতাধিক নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সংগীত উৎসবেই নিহত হয়েছেন ২৫০ জনের বেশি। অন্যদিকে ফিলিস্তিন বলছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে এখন পর্যন্ত।
শনিবারের হামলার পর রোববার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধ পরিস্থিতির ঘোষণা দেয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করতে বিমান বহনকারী একটি জাহাজ ইসরায়েলের কাছে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘ এবং কঠিন যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে। সেখানে স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
আরএইচ