কেনিয়ায় নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়া ব্রায়ান মুয়েন্ডা নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজেকে কেনিয়া বারের সদস্য হিসেবে দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ তাকে ভুয়া আইনজীবী হিসেবেই শনাক্ত করেছে।
ব্রায়ান মুয়েন্ডা হাইকোর্টের বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং আপিল বিচারকদের আদালতে ২৬টি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন এবং ২৬টি মামলাই জিতেছেন।
কেনিয়ার ল সোসাইটি (এলএসকে) শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছে ২০২২ সালের আগস্টে মুয়েন্ডা, ব্রায়ান মুয়েন্ডা নামের আরেকজন সত্যিকারের আইনজীবীর পরিচয় ব্যবহার করে নিজেকে বারের সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত করতে সক্ষম হন।
এলএসকে বলেছে, সেপ্টেম্বরে এলএসকে ডাটাবেসে একটি ভুল ইমেল ঠিকানা দিয়ে সাইন-ইন করার চেষ্টা করার সময় মুয়েন্ডার চালাকি ধরা পড়ে। সে সোসাইটির আইটি বিভাগে আসল মুয়েন্ডার প্রোফাইলে লগ ইন করতে সাহায্য চায়, যার ফলে বিভাগটি আসল মুয়েন্ডার তথ্যের সঙ্গে তার প্রমাণপত্র গুলো পরীক্ষা করে দেখে। এসময় তথ্যের গড়মিল পাওয়া গেলে এলএসকে কর্মীরা পুলিশকে জানায়।
তবে মুয়েন্ডার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ফ্যাক্ট ইস্ট আফ্রিকা নামের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানানো হলেও, এলএসকে-এর বিবৃতিতে তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে বোঝা যায় যে তিনি এখনও মুক্ত।
এদিকে এক ব্যক্তি নিজেকে মুয়েন্ডা বলে দাবি করে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি আইনজীবীদের একটি ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিজের ছবি যুক্ত করেছেন যাতে এটি মনে হয় যে তিনি একজন সত্যিকার আইনজীবী।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, আমি যে মামলাগুলো জিতেছি তা বহাল রাখা উচিত, কে কার প্রতিনিধিত্ব করছে আইন তার উপর নির্ভর করে না। আমি জোরালো যুক্তি পেশ করেছি, প্রমাণ পেশ করেছি এবং যৌক্তিক যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালতের উচিত আইন সম্পর্কে আমার জ্ঞান পরীক্ষা করা এবং আমাকে বারে ভর্তি করা। আইন স্কুলে না গিয়ে ২৬টি মামলায় জয়ী হওয়া আমাকে একজন জিনিয়াসে পরিণত করেছে। কেনিয়ার অনেক পেশাদার আইনজীবী রয়েছে যারা আইনের আদালতে কখনও কোনও মামলা জিতেনি বা যারা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে পারে না এবং একটি মামলাও বাঁচাতে পারে না। খবর আরটি
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এমএম