ইসরায়েলি হামলায় পরিবারের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন আল জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোপ্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ। স্ত্রী, সন্তান, কন্যা, নাতিকে হারিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরায় সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দাহদুহ গেল বুধবার দেইর এল-বালাহ অঞ্চলে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মর্গে প্রবেশ করেন তার মৃত স্ত্রী, সন্তান, কন্যাকে দেখার জন্য।
এ সময় তাকে হাঁটু গেড়ে ১৫ বছর বয়সী সন্তানের মুখ স্পর্শ করতে দেখা যায়। দাহদুহর সন্তান মাহমুদ বাবার মতো সাংবাদিক হতে চাইতো।
আরেকটি ফুটেজে তাকে মেয়ে শামের কাফনে জড়ানো লাশ ধরে থাকতে দেখা যায়। মনে হচ্ছিল তিনি মেয়ের রক্তাক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছিলেন। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় তাদের প্রাণ যায়।
শোকাচ্ছন্ন হয়ে দাহদুহ হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পথে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, কী ঘটেছে তা স্পষ্ট। এটি শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চলমান হামলা।
এর দুই ঘণ্টা পর নাতি আদমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওয়ায়েলের চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে এবং তার চার সন্তানসহ পরিবারের আরও আটজন সদস্যও হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরিবারের এত সদস্য হারিয়ে একদিন পরই কাজে ফিরেছেন আল জাজিরার এই সাংবাদিক। এমনটি জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট.ইউকে।
এজে প্লাসে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওয়ায়েল দাহদুহ বলেন, পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হারিয়েও দ্রুত কাজে ফেরা তার দায়িত্ব।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে হামাস শাসিত গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় সেই থেকে হামলা চলছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আল জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোপ্রধান ওয়ায়েল দাহদুহর পরিবারকে এই অঞ্চলে নেটওয়ার্ক কভারেজের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল হত্যা করেছে, এর কোনো প্রমাণ দেখছেন না তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
আরএইচ