আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের নিষেধাজ্ঞায় পপি চাষ ও আফিম উৎপাদন ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে এসেছে। রোববার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ থেকে ২০২৩ সালে এসে পপি চাষের জমির পরিমাণ ২ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর থেকে কমে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। পপি চাষ প্রায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
একইভাবে কমেছে আফিম উৎপাদন। একই সময়ের মধ্যে আফিম উৎপাদন ছয় হাজার ২০০ টন থেকে কমে ৩৩৩ টনে দাঁড়িয়েছে। এটি আফগান কৃষকদের জন্য বড় একটি ধাক্কা। রাজস্ব বিস্ময়করভাবে কমেছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রবণতা অবৈধ আফিম বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। তবে দীর্ঘদিন যাদের জীবনধারণের একমাত্র অবলম্বন এই আফিম বাণিজ্য, তাদের জন্য ঝুঁকির।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটি মানবিক ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন।
গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং এর আর্থিক ও কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকভাবে পপি জন্মায়। এতে হেরোইন তৈরিতে ব্যবহৃত প্রধান উপাদান আফিম থাকে।
আফগানিস্তান আগে ছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আফিম উৎপাদনকারী। বিশ্বব্যাপী আফিম সরবরাহের ৮০ শতাংশই হতো দেশটি থেকে। আফগানিস্তান ইউরোপ ও এশিয়ায় হেরোইনের একটি প্রধান উৎস।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
আরএইচ