স্পেনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রডিকা রাডিয়ান-গর্ডনকে দেশে ফিরিয়ে আনছে ইসরায়েল। ফলে ইসরায়েল ও স্পেনের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য মাদ্রিদ থেকে জেরুজালেমে ডেকে পাঠান।
এ সিদ্ধান্তের অর্থ হলো স্পেনের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিন্ন হচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোহেন নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) এ লিখেন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী আপত্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্পেন থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের।
তিনি আরও লিখেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাজ করছে। গাজায় সমস্ত অপহৃতদের মুক্তি এবং হামাসের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব। গত ৭ অক্টোবরের গণহত্যা এবং গাজার আজকের পরিস্থিতির জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস দায়ী।
পরামর্শের জন্য একজন রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা কূটনীতিতে কঠোরতম সতর্কতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে চূড়ান্ত পদক্ষেপ বলেও যোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশনে স্পেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ হামাসের হামলার নিন্দা করলেও গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের সমালোচনা করার পর দুই দেশের মধ্যে এমন কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়।
সানচেজ বলেন, গাজায় আমরা যে চিত্র দেখছি, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, যারা মারা যাচ্ছে, আমার সন্দেহ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলছে কীনা। আমরা গাজায় যা দেখছি তা অগ্রহণযোগ্য।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস সন্ত্রাসীরা আমাদের রাজধানী জেরুজালেমে যেদিন ইসরায়েলিদের হত্যা করেছিল, সে দিন স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর লজ্জাজনক মন্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কোহেনকে রাষ্ট্রদূতকে তলব করার নির্দেশ দেন।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
জেএইচ