গাজায় বনি সুহালিয়া গোলচত্বরে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকেদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ৫০, ৫১, ৫২ ও ২১৯ নম্বর ব্লক থেকেও লোকেদের সরে যেতে বলা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাখা কোগাট বাসিন্দাদের বলেছে, তারা যেন আল-কুদস সড়ক ধরে খান ইউনিসের পশ্চিমের আশ্রয়কেন্দ্র ও নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স অঞ্চলে চলে যায়। বুধবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
এটি আরও বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে চরম শক্তি নিয়ে লড়ে যাচ্ছে।
আল জাজিরা বলছে, এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের আর কোথাও যাওয়ার নেই। একমাত্র বিকল্প হলো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিশরে প্রবেশ করা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এটি বেশ জটিল বলে মনে হচ্ছে।
মিশর লাগোয়া রাফাহ সীমান্ত গেল দুদিন ধরে বন্ধ আছে। ঠিকঠাক কাগজপত্র থাকলেও লোকেরা সীমান্ত পাড়ি দিতে পারছে না।
তীব্র বোমাবর্ষণের মধ্যে বাসিন্দাদের প্রথমে গাজার কেন্দ্রীয় অংশে, পরে খান ইউনিস এবং এখন রাফাহর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
রাস্তাঘাটে লোকজনের ভিড়, তারা সরে যাওয়ার মধ্যেই রয়েছে। এমন অনেক লোক আছে, যারা তীব্র বৃষ্টিতে রাস্তায় রাতভর ঘুমিয়েছে। জীবনযাত্রা এখান মানুষের জন্য খুব, খুব কঠিন হয়ে উঠছে।
এদিকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলছেন, গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়। তবে ইসরায়েলি নেতারা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
আরএইচ