২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য লড়তে চাইছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় ফিরলে যুক্তরাষ্ট্র নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন বা ন্যাটো থেকে বেরিয়ে আসবে, এমন শঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান ও সাবেক ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বলছেন, এ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে যে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অর্থ হলো মহাদেশটি (ইউরোপ) থেকে আমেরিকান পশ্চাদপসরণ।
৭৪ বছর ধরে ন্যাটো আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জোট। উভয় পক্ষের প্রেসিডেন্টরা একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকারে আটলান্টিকের উভয় তীরের দেশগুলোকে একত্রিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধিকারী শক্তি হিসেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ন্যাটোকে সুবিধাভোগী কর্তৃক আমেরিকান সম্পদ নিঃশেষ হিসেবেই দেখেন। তিনি অন্তত এক শতাব্দীর এক চতুর্থাংশ ধরেই এ মত পোষণ করেছেন।
‘দ্য আমেরিকা উই ডিজার্ভ’ গ্রন্থে ট্রাম্প লিখেছেন, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনা হলে প্রতি বছর তার দেশের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বাঁচবে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি বারংবার জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছেন।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার দৌড়ে নামলেও নিজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি কমই বলেছেন। তার প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইটে একটি একক গোপন বাক্য রয়েছে, যেটি হলো- ন্যাটোর উদ্দেশ্য এবং ন্যাটোর মিশনকে মৌলিকভাবে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আমার প্রশাসনের অধীনে আমরা যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, তা আমাদের শেষ করতে হবে।
ট্রাম্প ও তার দল এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকার করেছেন। অস্পষ্ট লাইনটি ইউরোপীয় মিত্রদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত পররাষ্ট্রনীতি ভূমিকার আমেরিকান সমর্থকদের মধ্যে বিশাল অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
আরএইচ