ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত হামাস জিম্মি মুক্তির আলোচনায় যাবে না। গাজা নিয়ন্ত্রণ করা সশস্ত্র সংগঠন হামাস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতি থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েল দুই হাজারের হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। যুদ্ধবিরতির সময়ে শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করা হয়।
৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে অপহৃত প্রায় ১২০ জন এখনও গাজায় জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধের বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করার জন্য জাতিসংঘে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে তাদের এখনও গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে, ভোট এখন শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বেড়েছিল। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলে জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে মিসরের কায়রোতে। বুধবার প্রাথমিক আলোচনায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
এক বিবৃতিতে হামাস বলছে, ফিলিস্তিনের একটি জাতীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। আগ্রাসন সম্পূর্ণ বন্ধ করা না পর্যন্ত জিম্মি বা বিনিময় চুক্তির বিষয়ে কোনো কথা বলা উচিত নয়।
হামাসের বিবৃতি ইসরায়েলি সরকারকে খুবই কঠিন অবস্থানে ফেলেছে।
ইসরায়েল বলছে যে, তারা মনে করে জিম্মিদের মুক্ত করার সর্বোত্তম উপায় হলো হামাসের ওপর সামরিক চাপ এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা।
কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই পদ্ধতি সত্যিই কাজ করেনি। শুধুমাত্র ওরি মেগিডিশ- নামে এক জিম্মিকে প্রকৃতপক্ষে উদ্ধার করা হয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ৮ হাজার শিশু ও ৬ হাজার ২০০ নারী। আর ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ লোকের প্রাণ গেছে হামাসের হামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
আরএইচ