ইউক্রেনবাসী এই প্রথম ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস বা বড়দিন উদযাপন করল। তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার প্রভাব দূর করার অংশ হিসেবে এই উদযাপন।
গেল জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক আইনে সই করার মধ্য দিয়ে ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উদযাপনের বিষয়টি কার্যকর হয়।
ক্রিসমাস উদযাপনের তারিখ বদলে রুশ হামলায় ইউক্রেনবাসীর আতঙ্ক ও হতাশার পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়ের দাবি প্রতিফলিত হয়। এর আগে ইউক্রেন জানুয়ারিতে ক্রিসমাস উদযাপন করত, যেমনটি রাশিয়া করে থাকে।
কিয়েভে খোলা-আকাশের নিচে এক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে পরিবারের সঙ্গে অংশ নেওয়া ৪৪ বছর বয়সী ইয়েভহেন কনিক বলেন, এটি ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার। শুধু বিশ্বের সঙ্গেই নয়, দেশের ঐতিহ্য নিয়েও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
ইউক্রেন মূলত অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের দেশ। তবে তাদের ধর্মবিশ্বাস দুটি গির্জায় বিভক্ত। এর মধ্যে একটি রাশিয়ান অর্থোডক্স গির্জার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কযুক্ত। আরেকটি হলো ইউক্রেনের অর্থোডক্স গির্জা। এটি রাশিয়ান গির্জার কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় না এবং বিচ্ছিন্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৯ সালে ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স গির্জা শীর্ষ কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পায়।
ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চ, যা রাশিয়ান চার্চের একটি শাখা ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ সালে এটি মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার ঘোষণা দেয়।
তবে প্যারিশগুলো (যাজকপল্লী) রাশিয়ান চার্চের মতো ৭ জানুয়ারি ক্রিসমাস উদযাপন করবে। আবার অনেক ইউক্রেনীয় উৎসাহের সঙ্গে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশের সঙ্গে একই তারিখে ক্রিসমাস উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
আরএইচ