অস্ট্রেলিয়ান লেখক ইয়াং হেংজুনকে স্থগিত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে এবং গ্রেপ্তারের পাঁচ বছর পর তার এ সাজা হলো।
ড. ইয়াং একজন পণ্ডিত ও ঔপন্যাসিক। তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, তারা আদালতের এ রায়ে শঙ্কিত।
গত বছরের শেষদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের চীনে এক যুগান্তকারী সফরের পর এ রায় হলো। ওই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবনতি হওয়া সম্পর্কের উন্নতি করা।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ রায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, সরকার বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
তিনি বলেন, আমরা ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং চীনের আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে ড. ইয়াংয়ের জন্য ন্যায়বিচারের মৌলিক মান, পদ্ধতিগত ন্যায্যতা এবং মানবিক আচরণের আহ্বান জানিয়েছি।
অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তারা এর আগে ইয়াংয়ের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ জানায়। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলে, তারা যেন এ মামলায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করেন এবং দেশের বিচারিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইয়াংয়ের মামলাটি আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে পরিচালনা করা হয়েছে।
ড. ইয়াংয়ের সমর্থকরা তার আটকের বিষয়টিকে রাজনৈতিক নিপীড়ন বলে অভিহিত করেছেন। তার বন্ধু ফেং চোঙ্গি বিবিসিকে বলেন, চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের মতো সার্বজনীন মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে দেশটির সরকার শাস্তি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
আরএইচ