ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের ‘উজির-এ আজম’ পদে বিলাওয়ালকে চায় পিপিপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
পাকিস্তানের ‘উজির-এ আজম’ পদে বিলাওয়ালকে চায় পিপিপি

নির্বাচনের ফল গণনা নিয়ে যতটা না আলোচনা হচ্ছে পাকিস্তানে, তার চেয়ে বেশি কথা হচ্ছে দেশটির নতুন ‘উজির-এ আজম’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে। দেশটির জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।

সে হিসেবে দলের চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। তিনি আবার পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পিপিপি দিয়েছে শর্ত। দলটি চায়, তাদের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হবেন ‘পাক সার জামিনের’ নয়া ‘প্রধান উজির’।

পাকিস্তানের সম্প্রচার মাধ্যম জিও’র অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটের ফলাফল আসার পর থেকে কর্মব্যস্ততা বাড়িয়েছে পিএমএলএন। চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফ সরকার গঠনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি। সে ধারাবাহিকতায় নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ বৈঠক করেছেন বিলওয়াল ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে। সেখানে তিনি তাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সরকার গঠন নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কোন রূপে সরকার গঠন হবে সে প্রক্রিয়া নিয়েও তারা আলোচনা করেন।

এদিকে পিএমএলএন চায়, নয়া জোট গঠন হলে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপি জানিয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াজ শরীফকে চায় না। শাহবাজকে নিয়ে অবশ্য তাদের কোনো পরিকল্পনার আভাস পাওয়া যায়নি।

পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ শুক্রবার বলেছেন, নতুন জোটে যেতে আমাদের তেমন কোনো সমস্যা বা আপত্তি নেই। কিন্তু নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। যে কারণে তিনি জোট গঠনে ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে দেখতে চাই না। আমাদের চাওয়া হলো, পাকিস্তানের পরবর্তী ‘উজির-এ আজম’ হবে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আসন সংখ্যা ২৬৬। সরকার গঠনে একটি দলকে ১৩৪টি আসন পেতে হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে একটি বাদে বাকি সবগুলোয় ভোট হয়েছে। জানা গেছে ২৫৫ আসনের ফল। ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় দেখানো হয়েছে ১০০ আসনে। পিএমএল-এন ৭৩; পিপিপি ৫৪ আসন ও অন্যান্য দল জয় পেয়েছে ২৮ আসনে। এখনও ১০ আসনের ফলাফল বাকি।

কিন্তু তার আগেই পিএমএলএনকে বিজয়ী বলে দাবি করেন নওয়াজ শরিফ। জোট গঠনে তিনি ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম-ফজলুরের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের চেয়ারম্যান খালিদ মকবুল সিদ্দিকী, পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে শনিবার থেকে আলোচনা শুরুর কথা জানান।

এ বিষয়েও আপত্তি আছে পিপিপির। বিষয়টি নিয়ে খুরশীদ শাহ বলেন, সব আসনের ফলাফল এখনও আসেনি। তার আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নওয়াজ। এত ব্যস্ততার কী আছে? যা-ই হবে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।