গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, ইসরায়েল ও কাতারের মধ্যকার আলোচনা উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো।
এমন সময় আলোচনাটি হলো, যখন উপত্যকাটির দক্ষিণ প্রান্তে পরিকল্পিত হামলা বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান বাড়ছে।
কায়রোতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির মধ্যে আলোচনা হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মত হওয়া এবং সেখানকার বেসামরিকদের রক্ষার পাশাপাশি আরও ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা। মিশরের রাষ্ট্রীয় বার্তা পরিষেবা সংস্থা মঙ্গলবার এসব তথ্য জানায়।
প্রধান প্রধান বিষয়ে পরামর্শ ও সমন্বয় চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ এটি ইঙ্গিত করে যে, উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় ছিলেন।
এদিকে গাজায়, ইসরায়েলি বাহিনী ৬৪ বর্গ কিলোমিটার (২৫ বর্গমাইল) দক্ষিণের শহর রাফায় স্থল হামলার পরিকল্পনা করছে। যুদ্ধের আগে রাফায় তিন লাখ লোকের বসবাস ছিল। এখন তা কমে ১ দশমিক ৪ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। বহু মানুষ গাজায় তাঁবু ক্যাম্পে রয়েছেন। এর আগে শহরটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর বহু বাসিন্দা আশ্রয় নেয়। গাজার উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলে গেল চার মাস ধরে বোমা হামলা চালায়।
বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আসন্ন হয়নি। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, বাস্তুচ্যুতদের এখন আর কোথাও যাওয়ার নেই।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট টুমা বলেন, বাসিন্দাদের কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাবেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। উত্তরাঞ্চল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, অবিস্ফোরিত অস্ত্রে ছেয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
আরএইচ