ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চেচনিয়া: আরো সহিংসতার আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০
চেচনিয়া: আরো সহিংসতার আশঙ্কা

গ্রোজনি: চেচনিয়ার পার্লামেন্টে মঙ্গলবার সকালে জঙ্গী হামলার ঘটনায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যদিও রাশিয়ার সরকার দাবি করে, তারা চেচনিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে।



ওই জঙ্গী হামলার ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।

এই হামলায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তিনজন জঙ্গী নিহত হন। জঙ্গীরা পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তী বাহিনীর সঙ্গে বাধে। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তিকে জানান, একজন আত্মঘাতি হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় অন্য জঙ্গীরা প্রধান ভবনের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করে। এখনও হামলাকারীর সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিন থেকে ছয়জন জঙ্গী এ হামলায় অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রুশ সরকার চেচনিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাদিরভের ওপর ভরসা রেখেছে। একসময়ের এই জঙ্গী নেতা কেন্দ্রীয় রুশ সরকারের সঙ্গে মিত্রতা করেছেন। গত বছর তিনি চেচনিয়ায় দশকব্যাপী চলে আসা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ করার ঘোষণা দেন।
 
রুশ পার্লামেন্টের নিরাপত্তা কমিটির প্রধান ভ­াদিমির ভাসিলিয়েভ বলেন, দ্রুততার সঙ্গে পার্লামেন্ট ভবন ফাঁকা করা হয়। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে জঙ্গীরা ভবনের চতুর্থ তলায় উঠে যায়।

এই হামলার দুই মাস আগেই চেচনিয়ার নেতা রামজান কাদিরভের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। সেসময় অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রশিদ নারগালিয়েভ ওই স্থানে সফরে ছিলেন।

হামলার পরপরই পার্লামেন্টে নারগালিয়েভ বলেন, ‘তলোয়ার নিয়ে কাউকে আমাদের কাছে ভিড়তে দেব না। তাদের (জঙ্গীদের) জানা উচিত যে, তারা তলোয়ারের নিচেই মারা পড়বে। ’

১৯৯০-র দশক ও ২০০০ সালের শুরুর দিকে দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের পর রাশিয়া চেচনিয়া থেকে ২০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কাদিরভের সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি সংস্কৃতি চর্চার অভিযোগ করেন এবং তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্তও বলে অনেকের ধারণা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।