ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের নির্বাচনে পালাবদলের আভাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
ব্রিটেনের নির্বাচনে পালাবদলের আভাস লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার (বাঁয়ে), ডানে ঋষি সুনাক

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক পালাবদল এক প্রকার নিশ্চিত – জনমত সমীক্ষার ভিত্তিতে এমনটিই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৪ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকার পর রক্ষণশীল টোরি দলের ভরাডুবি আসন্ন।

সেক্ষেত্রে ঋষি সুনাককে পরাজিত করে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, টোরি পার্টি এতকাল ক্ষমতায় থাকলেও দলের মধ্যে চরম কোন্দল ও অস্থিরতা জনপ্রিয়তা কমার অন্যতম কারণ। গত আট বছরে পাঁচ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। ফলে ভোটাররা অবশেষে দেশের নেতৃত্বে পরিবর্তন চাইছেন।  

সক্রিয়ভাবে লেবার পার্টিকে অনেকেই সমর্থন করছেন না। বরং টোরিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ফায়দা তুলতে পারছে বিরোধী লেবার পার্টি।  

ক্ষমতায় এলেও দলের ঘাড়ে বিপুল দায়িত্ব এসে পড়বে, এমনটি স্বীকার করে নিচ্ছেন স্টার্মার৷ নিউ স্টেটসম্যান সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, আজ ব্রিটেন নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে। আরো পাঁচ বছর রক্ষণশীলরা ক্ষমতায় থাকলে কিন্তু সেটা হবে না। একমাত্র লেবারকে ভোট দিলেই পরিবর্তন আসবে।

কোণঠাসা টোরি পার্টির নেতা ঋষি সুনাক মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করে দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।  

দলের জনপ্রিয়তার অভাব কার্যত মেনে নিয়েই নির্বাচনের প্রচারে তিনি সরাসরি পুনর্নিবাচনের ডাক না দিয়ে লেবার দল ক্ষমতায় এলে দেশের কী দশা হবে, সে বিষয়ে ভোটারদের সতর্ক করে দেন।

ভোটগ্রহণের দিন তিনি বলেন, লেবার আগামী সরকার গঠন করলে করের হার বাড়বে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া থমকে যাবে এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্রিটেন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

ব্রেক্সিট, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো সংকটের কারণে ব্রিটেনে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উপর গভীর প্রভাব ফেলছে।  

জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস সত্য হলে লেবার পার্টি বিশাল ব্যবধানে জয়ের মুখ দেখবে। তবে ভোটগ্রহণের হার ও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভোটারদের আচরণের উপর চূড়ান্ত ফল নির্ভর করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তার ওপর ‘দ্য সান’ নামের প্রভাবশালী ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র স্টারমারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

টোরি দলের সম্ভাব্য ভরাডুবির পেছনে দক্ষিণপন্থি রিফর্ম ইউকে দলের নেতৃত্বে নাইজেল ফারাজের আচমকা আবির্ভাবকেও দায়ী করা হচ্ছে। মধ্যপন্থী লিব ডেম পার্টিও নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারে।

স্কটল্যান্ডে ভালো ফল করার পর লেবারের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।  

ডয়চে ভেলে অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।