ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত অর্ধশত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত অর্ধশত

নতুন যুদ্ধবিরতি আলোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। খবর আল জাজিরার।

 

ইসরায়েলি হামলায় শেষের ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত কয়েক ডজন লোক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানিয়েছে।  

গাজা সিটির শুজাইয়া, সাবরা ও তাল আল-হাওয়ার মতো কয়েকটি জেলার ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক। সেখানকার বাসিন্দারা ভয়াবহ যুদ্ধের খবর জানিয়েছেন।  

হামাসের সশস্ত্র শাখা এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ বলছে, তারা তাল আল-হাওয়ায় ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট ও মর্টারের গোলায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে।  

গাজা সিটির বাসিন্দারা বিস্ফোরণ এবং বেশ কয়েকটি বন্দুকযুদ্ধের পাশাপাশি রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমের আশেপাশের এলাকায় হেলিকপ্টার হামলার খবর জানিয়েছেন।

ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছিল, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা গাজা সিটিতে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এর পর থেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির ওপর নজর দেওয়া শুরু করে।  

গাজা সিটির বাসিন্দাদের মধ্যবর্তী জেলা দেইর আল-বালাহর দিকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, সেখানে গাজা উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন।  

যুদ্ধের প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল গাজার উত্তর দিকের বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারা ওই অঞ্চলকে নিরাপদ ঘোষণা করলেও পরে সেখানে হামলা বাড়াতে থাকে।  

গাজা সিটির জেইতুন থেকে দুই সন্তান নিয়ে পালিয়েছেন মাহা মাহফুজ নামে এক নারী। তার মতো অনেক ফিলিস্তিনি ওই অঞ্চল থেকে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের এলাকা খালি করার নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে তারা ভয়ে পালিয়েছেন। কারণ বোমাবর্ষণ এবং গোলাগুলি তাদের কাছেই ছিল।  

এদিকে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে আল-জালা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। কাছেই লাবাবিদায় বোমা হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।  

ইন্দোনেশীয় হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-সুলতান বলেন, আল-আহলি হাসপাতাল থেকে ৮০ জন রোগী এবং আহত ফিলিস্তিনি তার হাসপাতালে এসেছেন।  

হাসপাতালের প্রতি কোণে রোগীতে ভর্তি বলে জানান তিনি।  

পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলো।  

মারওয়ান আল-সুলতান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। মাথায় গুলি লাগা অনেকের জন্য নিবির পরিচর্যা প্রয়োজন। জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ফুরিয়ে আসছে।  

তিনি জানান, তার হাসপাতালে ১৬টি মরদেহ এসেছে, অর্ধেকই নারী ও শিশু।  

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, সামরিক বাহিনী গাজা সিটির জাফফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে। অনেককে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উদ্ধার করা যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।