ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটির বাসিন্দাদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের দক্ষিণ দিকে চলে যেতে বলেছে।
গাজা সিটির বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক বলছেন, সরে যাওয়ার নির্দেশের পর স্নাইপারদের মাধ্যমে পলায়নরত লোকজনকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
বুধবার নির্দেশের পর গাজা সিটির কিছু অঞ্চল থেকে লোকজন সরে যেতে শুরু করে। আর তখনই স্নাইপার হামলার ঘটনা ঘটে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এক ব্যক্তি আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে বসেছিলেন। তিনি দেখতে পান, বাইসাইকেলে টিনভর্তি খাবার নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির ওপর ইসরায়েলি স্নাইপার গুলি করছে।
তিনি বলেন, স্নাইপার ওই ব্যক্তিকে সরাসরি গুলি করেন। তিনি বলেন, আমরা তার মরদেহ সরিয়ে নিতে পারিনি। চিকিৎসাকর্মীরাও ওই সড়কে ঢুকতে পারছিলেন না। তারা মরদেহ সরাতে পারেননি।
অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা ফিরে যেতে বাধ্য হন বলে জানা গেছে। তারা মরদেহ উদ্ধারের নির্দেশ পাননি। তাদের এই বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, কেউ কাছে গেলে গুলি করা হবে।
এক নারী আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ইয়ারমুক স্টেডিয়াম পার হতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে বলা হয়েছিল, সেখানে সড়কে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পড়ে আছে। ইসরায়েলি স্নাইপার তাদের গুলি করেছিল।
তিনি বলেন, চিকিৎসাকর্মী ও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, যাতে অন্তত মরদেহগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের তো কবর দেওয়া প্রয়োজন।
একাধিক লোক বলেছেন, তারা রাস্তায় হাঁটতে থাকা এক ব্যক্তির মাথায় গুলি লাগতে দেখেছেন। একটি টাওয়ার থেকে লক্ষ্য করে স্নাইপার গুলি ছোড়ে। পরে বেশ কয়েকজন মরদেহটি সরিয়ে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
আরএইচ