ছয় বছর পর অবশেষে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হলো ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে। সেখানে এবার গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হবে।
গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ওমর আবদুল্লাহ।
জম্মু ও কাশ্মীরে দীর্ঘ এক দশক পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট। এ পরিস্থিতিতে আরও একবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ওমর আবদুল্লাহ।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরিত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর ৭৩ নং ধারা, সংবিধানের ২৩৯ ও ২৩৯এ ধারা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সে সময় সেখানে জারি হয়েছিল কারফিউ। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সেনায় ভরে গিয়েছি গোটা উপত্যকা। তবে তারও আগে থেকেই সেখানে জারি ছিল রাষ্ট্রপতি শাসন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে বিজেপি। তবে সেই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করে মেহবুবা মুফতির ওপর থেকে। এর জেরে সরকার পড়ে যায়।
তখন থেকেই সেখানে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। তবে ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয়। বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি রাজ্যের মর্যাদাও হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
আরএইচ