গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়াতে ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি না হলে সামরিক সহায়তা কমানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত রোববার এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে কড়া বার্তা দেয়। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের নতুন হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ইসরায়েল প্রায় ৯০ শতাংশ মানবিক সহায়তাবাহী পরিবহন আটকে দিয়েছে কিংবা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এতে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে সহায়তা পৌঁছানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
ইসরায়েল চিঠিটি পর্যালোচনা করছে। দেশটির এক কর্মকর্তা এমনটি বলছিলেন। তিনি যোগ করেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত উদ্বেগের সমাধান করতে চায়।
ইসরায়েল এর আগে বলেছিল, তারা গাজার উত্তর অংশ হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। মানবিক সহায়তা প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না।
গাজার সঙ্গে সীমান্ত পারাপার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট সোমবার জানিয়েছে, ৩০টি লরিতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তা গাজার উত্তরাঞ্চলে এরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘ এর আগে বলেছিল দুই সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় কোনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছায়নি। সেখানে চার লাখ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। তাদের টিকে থাকার জন্য ত্রাণ পৌঁছানো জরুরি।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, গাজা টানা জরুরি অবস্থার চরম পর্যায়ে রয়েছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নিয়োজিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান অ্যান্টোইনি রেনার্ড বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, উপত্যকার উত্তর দিকে থাকা লোকজন শুধুমাত্র ত্রাণ-সহায়তার ওপরই নির্ভরশীল। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর দেওয়া সহায়তা ছাড়া তাদের নতুন কোনো খাবার পাওয়ার সুযোগ নেই।
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রদাতা বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
ইসরায়েলকে দেওয়ার চিঠির বিষয়বস্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। তবে চিঠি নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে অ্যাক্সিওস। চিঠিতে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
আরএইচ