বর্তমানে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তীব্র দারিদ্র্যে বসবাস করছেন। তাদের অর্ধেকই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে বসবাস করেন।
এসব দেশ অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ বঞ্চনার সম্মুখীন হয়, যা বহুমাত্রিক দারিদ্র নামে পরিচিত। এর অর্থ হলো সেসব দেশে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদার অভাব রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রকাশিত সূচকে এমনটি বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে পুষ্টি, বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন সুবিধার ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে।
বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুযায়ী, ১২২ দেশের ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে গবেষণায় উঠে এসেছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ তীব্র দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। এর মধ্যে ৪৫৫ মিলিয়ন লোক সংঘাতরত দেশগুলোতে বসবাস করেন।
ইউএনডিপি কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘাত তীব্র হয়েছে এবং বহুগুণ বেড়েছে। নতুন করে হতাহতের সংখ্যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কয়েক মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা জীবন ও জীবিকায় ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
সূচকটি দেখিয়েছে, প্রায় ৫৮৪ মিলিয়ন শিশু, অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী শিশুদের ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের (১৩ দশমিক ৫ শতাংশ) তুলনায় দ্বিগুণ। যুদ্ধরত দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুহার ৮ শতাংশ, যেখানে শান্তিতে থাকা দেশগুলোতে এ হার ১ দশমিক ১ শতাংশ।
সূচকটি আরও বলছে, বিশ্বের ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র লোকগুলোর বাস সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।
অক্সফোর্ড দারিদ্র্য ও মানব উন্নয়ন উদ্যোগের (ওপিএইচআই) সঙ্গে যৌথভাবে প্রণীত সূচকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য নির্ধারণে পর্যাপ্ত বাসস্থান, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ, রান্নার জ্বালানি, পুষ্টি ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মতো নির্দেশক ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
আরএইচ