দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া, জন্মহার কমে যাওয়া ও যুদ্ধে মৃত্যুর ফলে ইউক্রেনে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী দেশটিতে অন্তত ১ কোটি (১০ মিলিয়ন) বা প্রায় এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা কমেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থা বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়েছে, জেনেভা নিউজ কনফারেন্সে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের পূর্ব ইউরোপের প্রধান ফ্লোরেন্স বাউয়ার। এ সময় তিনি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে শুরু হওয়া আগ্রাসন ইতিমধ্যেই আগে থেকেই বিদ্যমান জনসংখ্যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তুলেছে।
জন্মহার কমেছে ও বর্তমানে নারীপ্রতি গড়ে একটি করে সন্তান আছে, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন সন্তান জন্মহারের অন্যতম। একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখার জন্য নারীপ্রতি প্রজনন হার হতে হবে ২ দশমিক ১।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল ৫০ মিলিয়নেরও বেশি। ২০২১ সালে রাশিয়ার পূর্ণ-আক্রমণের আগের বছর এর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ মিলিয়ন। রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেনের জনসংখ্যার পরিস্থিতির ভয়ানক অবনতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৯৯৯ সালের পর থেকে দেশটির সর্বনিম্ন জন্মহার রেকর্ড করেছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলে পূর্ব ইউরোপের প্রধান বাউয়ার বলেন, ইউক্রেনের জনসংখ্যার ওপর যুদ্ধের প্রভাবের সঠিক হিসাব-নিকাশের জন্য সংঘাত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এমজে