ভারতের মণিপুর রাজ্যে জিরিবাম জেলায় ধর্ষণের পর জীবন্ত পোড়ানো হলো ৩ সন্তানের জননীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠীর সদস্য ৩১ বছর বয়সী হামার জনগোষ্ঠীর ওই স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশের কাছে ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তার স্ত্রীকে ‘সশস্ত্র মেইতেই সন্ত্রাসীরা’ ধর্ষণ করে ও পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত নারীর লাশ পরিবারের কাছে রয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ আসামের শিলচরে পাঠানোর চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি, কীভাবে ওই নারী পুড়েছেন এবং কতগুলি বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ২০ বাড়ি পুড়ে গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
গত ১৯ অক্টোবর কুকি-জো-হামার গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর আগে, এরপর থেকে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিরিবাম জেলার পুলিশ সুপারের উদ্যোগে স্থানীয় মেইতেই ও হামার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু করার ঠিক আগে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল। এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মণিপুরে বছরের বেশি সময় ধরে মেইতেই ও অন্যান্য জনজাতির মধ্যকার সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জনে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ হাজারে বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এমএম