ইউক্রেনের জ্বালানি-বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে রুশ মিসাইল এবং ড্রোন আক্রমণের ফলে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো জানিয়েছেন গতরাতে দেশটির জ্বালানি-বিদ্যুৎ অবকাঠামো একাধিক মিসাইল এবং ড্রোন আক্রমণের শিকার হয়েছে।
ইউক্রেনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন, লভিভ অঞ্চলে ৫ লাখ ২৩ হাজার, পশ্চিম রিভনে অঞ্চলে ২ লাখ ৮০ হাজার এবং পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিম ভোলিন অঞ্চলে ২ লাখ ১৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সারানোর কাজ শুরু করেছেন।
কিয়েভ নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত সমস্ত মিসাইল প্রতিহত করা হয়েছে, তবে আশপাশের এলাকাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
ইউক্রেনের ক্রাসনোদারের আঞ্চলিক গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্ড্রাতিভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, তার অঞ্চলের দুটি জেলা ব্যাপক ড্রোন আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে একজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, জ্বালানি-বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ১৮৮টি মিসাইল এবং ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ৭৬টি কালিব্র ক্রুজ মিসাইল, ৩টি কেএইচ-৫৯/কেএইচ-৬৯ মিসাইল এবং ৩৫টি ড্রোন তারা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
রাশিয়ার এই আক্রমণের মধ্যে কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেন ৪টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে, যার মধ্যে মোট ১৫টি রিঅ্যাক্টর রয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গত রাতে ২৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ১৪টি ড্রোন দক্ষিণের ক্রাসনোদার অঞ্চলে, ৬টি ড্রোন পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে, ৩টি ড্রোন ক্রিমিয়া অঞ্চলে এবং ২টি ড্রোন দক্ষিণের রোস্তভ অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়।
এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলার জবাবে রাশিয়া গত রাতে ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১শটি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে পাল্টা আঘাত করেছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া হামলার লক্ষ্যবস্তু এমনভাবে নির্বাচন করেছে যেগুলো কিয়েভের সিদ্ধান্ত গ্রহণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
এমএম