উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছে হ্যাকাররা। দেশটির রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংবাদপত্র নিউ ভিশনের বরাতের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা নিজেদের ‘ওয়েস্ট’ বা আবর্জনা নামে অবিহিত করেছে। তারা ব্যাংক অব উগান্ডার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থায় ঢুকে অবৈধভাবে ১৬.৮ মিলিয়ন ডলার বা ৬২ বিলিয়ন উগান্ডার শিলিং ট্রান্সফার করে।
সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, এই হ্যাকার গোষ্ঠীটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভিত্তিক। ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে নিউ ভিশন জানায়, চুরি করা অর্থ জাপান ও ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
তবে চুরি যাওয়া অর্থের অর্ধেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হ্যাকারদের কাছ থেকে সফলভাবে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। অর্থ চুরির এই ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনি এ বিষয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
উগান্ডার স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য মনিটর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উগান্ডা জাপানি কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার অনুরোধ করলেও জাপান জানিয়েছে বিষয়টি এখন কিছুটা জটিল হয়ে গেছে। কারণ স্থানীয় ব্যাংক, যার মাধ্যমে ভুয়া ওয়্যার ট্রান্সফারটি করা হয়েছিল, ব্যাংক অব উগান্ডার অনুরোধ অগ্রাহ্য করেছে। তাদের বক্তব্য উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার সিন্ডিকেটটি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দিয়েই ৬ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করেছে।
তবে ইংল্যান্ডের স্থানীয় ব্যাংক উগান্ডার সেন্ট্রাল ব্যাংকের অনুরোধে ৭ মিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করেছে, যা এখন কাম্পালায় কর্মকর্তারা পুনরুদ্ধার করা টাকা হিসেবে প্রচার করছেন।
তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতরা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন শিলিং ট্রান্সফার করেছে।
তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ব্যাংক অব উগান্ডা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মোট ১৭ জন কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এমএম