সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা বলছে, তারা হোমস শহরে প্রবেশ করেছে। এর আগে তারা শহরটির কেন্দ্রীয় কারাগার দখল করে নেয় এবং সাড়ে তিন হাজার বন্দিকে মুক্ত করে।
বিদ্রোহীরা দামেস্কের দিকে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। তবে তার কার্যালয় বলছে, তিনি পালাননি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তিনি দামেস্কে আছেন এবং রাজধানী থেকে তার কাজ পরিচালনা করছেন।
তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঠিক অবস্থান এখনো অজানা, এবং তাকে কয়েক দিন ধরে দেখা যায়নি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির দাবি, যোদ্ধারা দামেস্ক ও হোমসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন, শিগগিরই আসাদ সরকারের পতন ঘনিয়ে আসছে।
আরেক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, যোদ্ধারা হোমস শহরের গভীরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কয়েকটি অভিযানের পর সেখানকার সরকার-সংশ্লিষ্টরা পালিয়েছে।
আল জাজিরা জানায়, হোমস শহরের কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ উদযাপন করছে এবং প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের পতন দাবি করছে।
সিরিয়ার স্থানীয় সূত্রগুলো আল জাজিরাকে বলেছে, দামেস্কের আশেপাশে সেনাবাহিনী পিছু হটায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সিরিয়ার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে পাঁচ আরব দেশসহ আট দেশ।
কাতার, সৌদি আরব, জর্দান, মিশর, ইরাক, ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সতর্ক করে বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সিরিয়ার নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
আরএইচ