প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের খবর জানিয়ে সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বলছেন, ‘নতুন সিরিয়া’ হবে একটি ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ স্থান, যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সব সিরিয়ানের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।
বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছি।
সম্প্রতি বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা এইচটিএস (হায়াত তাহরির আল-শাম) প্রধান আল-জুলানিও জোর দিয়ে বলেছিলেন তারা সব সিরিয়ানের জন্য একটি রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন, যাতে গোষ্ঠী সংঘাতের উদ্বেগ কমানো যায় এবং তাদের আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের পূর্ববর্তী সংযোগের বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা দূর করা যায়।
এমন বার্তার মধ্যেই সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বলেছেন, তিনি তার বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন না। কারণ তিনি নিশ্চিত করতে চান, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
আল-জালালি বলেন, আমি সবাইকে যুক্তিসঙ্গত চিন্তা করতে এবং দেশের কথা ভাবতে অনুরোধ জানাই। আমরা বিরোধীদের প্রতি আমাদের হাত প্রসারিত করছি, তারাও তাদের হাত বাড়িয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে তারা এই দেশের কোনো নাগরিকের ক্ষতি করবে না।
তিনি নাগরিকদের প্রতি সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্য অতীতে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিশৃঙ্খলার শিকার হয়েছে। ২০০৩ সালে যখন মার্কিন বাহিনী ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল, তখন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো এবং সরকারি স্থাপনাগুলো লুটপাটের শিকার হয়েছিল এবং অরাজকতা দেখা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
এমএম