ঢাকা, রবিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় পুলিশ প্রধানসহ ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় পুলিশ প্রধানসহ ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত আল-মাওয়াসি এলাকার উদ্বাস্তু শিবির

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি বিমান হামলায় অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে উপত্যকার পুলিশ বাহিনীর প্রধান ও তার সহকারীও রয়েছেন।

খবর আল জাজিরার।

হাসপাতাল সূত্রগুলো বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে জানায়, আল মাওয়াসির ‘মানবিক অঞ্চলে’ এক উদ্বাস্তু শিবিরের তাঁবুতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিশুসহ ১২ জনের প্রাণ যায়। মাওয়াসি দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চল।

হামলায় গাজার পুলিশ বাহিনীর প্রধান মাহমুদ সালাহ ও তার সহকারী হুসসাম শাহওয়ান নিহত হন। বর্ষীয়ান কর্মকর্তা সালাহ এই বাহিনীতে ৩০ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন। ছয় বছর ধরে বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, দুই পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের জনগণের সেবায় তাদের মানবিক ও জাতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ইসরায়েল বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গাজায় মানবিক সংকট গভীর করছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ বাহিনী একটি নাগরিক সুরক্ষা বাহিনী। এটি নাগরিকদের সেবায় কাজ করে।

হামলার পরের ভিডিওতে দেখা যায়, জ্বলন্ত তাঁবুতে মানুষ বেঁচে থাকা লোকেদের খুঁজে ফিরছিল। হামলায় আহত হন প্রায় ১৫ জন। হামলায় আশ্রয় শিবিরে কাপড় শুকানোর জন্য টানানো দড়িগুলোও জ্বলে গিয়েছিল।

দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজোম জানান, সর্বশেষ হামলাগুলোতে উত্তেজনা বেড়েছে। শহরের উপকণ্ঠে একটি গ্যাস স্টেশনে আরেক হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, মরদেহগুলো আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেই নির্মম হামলায় দেহগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি মায়েরা কাঁদছেন।

গাজার খান ইউনিসের পূর্বে বনি সুহেইলায় দুজন, গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি ক্যাম্পে তিনজন এবং উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার ভোররাতে আল-মাওয়াসি এলাকায় হামলার কোনো পূর্ব সতর্কতা দেয়নি। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও কামানের ধারাবাহিক হামলা হয়েছে ওই এলাকায়।

সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বরের হামলায় আটজন নিহত হন, যার মধ্যে দুই শিশু ছিল। ৩ ডিসেম্বর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী হামাসের এক কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের হামলার পর সামরিক বাহিনী দাবি করে, তারা গোয়েন্দা তথ্যে হামলা চালায় এবং শাহওয়ানকে হত্যা করে। তাকে দক্ষিণ গাজায় হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে তারা সালাহর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।