ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রতিনিধিসভা

রিপাবলিকান ২৩৯॥ ডেমোক্রেট ১৮৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১০
রিপাবলিকান ২৩৯॥ ডেমোক্রেট ১৮৩

ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশটির বিরোধী রিপাবলিকান দল বড় ধরনের জয় পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলটি ডেমোক্রেটদের কাছ থেকে প্রতিনিধিসভার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।



প্রতিনিধিসভার ৪৩৫টি আসনের মধ্যে রিপাবলিকানরা এ পর্যন্ত ২৩৯টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ১৮৩ টিতে।  

তবে ছয়টি আসন হারিয়েও খুব কম ব্যবধানে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ডেমোক্রেটরা।

সিনেটে রিপাবলিকানদের অর্জন তাৎপর্যপূর্ণ এবং তা ওবামা প্রশাসনের জন্য একপ্রকার হুমকির পরিবেশ তৈরি করেছে। সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে এবার নির্বাচন হয়েছে ৩৭টি আসনে।

এর মধ্যে আগে ডেমোক্রেটদের দখলে ছিলো সিনেটের ৫৭টি আসন যার মধ্যে ৬টি আসনে হেরে বর্তমানের তাদের আসন সংখ্যা হয়েছে ৫১টি।

অন্যদিকে, নতুন করে ৬টি আসনে জয় পেয়ে সিনেটে রিপাবলিকানদের বর্তমান আসনসংখ্যা ৪৬টি। আগে তাদের দখলে ছিলো ৪১টি আসন। তবে উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিতে দলটির আরও ১০টি আসনের প্রয়োজন।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে রিপাবলিকানদের ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, নেভাডা, কলোরাডো, পেনসিলভানিয়া এবং ইলিনয়ে ডেমোক্রেটদের পরাজিত করতে হবে। এসব অঞ্চলের ফলাফল এখনো বাকি রয়েছে।

এদিকে, উইসকনসিনে তিন দফায় জয় পাওয়া ডেমোক্রেটপ্রার্থী রুস ফেইনগোল্ডকে রিপাবলিকান রোনাল্ড জনসন পরাজিত করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরকানসাসেও জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান জন বোজম্যান।

ইলিনয়ে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মার্ক ক্রিক খুব কম ভোটের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় কোষাধ্যক্ষ অ্যালেক্স জিয়ানোলিয়াসকে পরাজিত করেছেন।      

নেভাডা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় জয় পেয়ে সিনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্রেটরা। উভয় কক্ষেই রিপাবলিকানদের বড় জয় দেশে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে তা ওবামার বাকি দুই বছরের শাসনকে জটিল করে তুলবে এবং তার স্বাস্থ্যবিল ও এরইমধ্যে আইন হিসেবে পাস হওয়া বিভিন্ন বিল হুমকির মধ্যে পড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রচারে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ভূমিকা কম থাকলেও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তা প্রভাব রাখবে।

এদিকে, নির্বাচনের ফলাফলে এটাই দেখা যায়, ওবামার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে এবং দুর্বল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বেকারত্বের উচ্চ হার এবং ক্রমাগত ঘাটতিতে হতাশ জনগণের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে রিপাবলিকানরা।

দুই বছর আগের তুলনায় তাদের আর্থিক অবস্থা এখন অনেক খারাপ বলে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ভোটারই এমন মন্তব্য করেছেন। ভোট দিতে আসা অধিকাংশ ভোটারই দুই রাজনৈতিক দল ও ওবামার প্রতি তাদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

এদিকে, ২০০৮ সালে ডেমোক্রেটদের সমর্থন করা অধিকাংশ স্বতন্ত্র ও অন্য ভোটাররা বর্তমানে রিপাবলিকানদের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। মিনেসোটার প্লেমাউথের স্যালি ম্যাককেইব বলেন, ‘দুই বছর আগে আমি ওবামাকে ভোট দিয়েছিলাম এবং আমি আমার ভোটটি ফেরত চাই। ’

তবে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন বেতার সাক্ষাৎকারে তার দলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ওবামা। এর একটিতে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা অনেক কঠিন। কিন্তু আমাদের এখনও আরও কাজ বাকি। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।