ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ছিলো নাৎসিদের নিরাপদ স্বর্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১০
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ছিলো নাৎসিদের নিরাপদ স্বর্গ

ওয়াশিংটন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দেশটিকে জার্মান নাৎসি এবং তাদের সহযোগিদের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গে’ পরিণত করেছিলো। শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস মার্কিন সরকারের গোপন এ ইতিহাস প্রকাশ করে।

 

যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও  ৬০০ পাতার এ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় বলে সংবাদপত্রটি জানায়।

১৯৫৪ সালে সিআইএ কর্মকর্তারা অ্যাডল্ফ আইচমানের সহযোগী ওটো ভন বলশভিংকে সাহায্য করেছিলো। প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বলশভিং ই ইহুদিদের জার্মানি ধ্বংসের প্রাথমিক পরিকল্পনাটি করেছিলো এবং পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিআইএ’র হয়ে কাজ করে।    

তবে বলশভিং এর অতীত নিয়ে সিআইএ’র কর্মকর্তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এসময় কোনো ধরনের নাৎসি সহযোগিতার কথা অস্বীকার করা হবে, না তারা পারিপাশ্বির্ক অবস্থার শিকার বলে তার নিয়োগের বিষয়টি বৈধ করা হবে- এ নিয়েই মূলত কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

এসময় বলশভিং এর সঙ্গে নাৎসিদের সম্পর্কের কথা প্রকাশিত হয় এবং বিচার বিভাগ ১৯৮১ সালে তাকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই বছরই ৭২ বছর বয়সে বলশভিং মারা যান বলে টাইমস উল্লেখ করে।

এছাড়া প্রতিবেদনে নাৎসি বিজ্ঞানী আর্থার রুডলোফের বিষয়টিও প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়। রুডলোফ জার্মানির মিতেলরেক সামরিক রসদ কারখানার তত্ত্বাবধানে ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

‘অপারেশন পেপারকিপ’র আওতায় ১৯৪৫ সালে রকেট বানানোর দক্ষতার জন্য রুডলোফকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র নাৎসিদের হয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীদের নিয়োগ দেয়।

নাসা থেকে রুডলোফকে সম্মানিত করা হয় এবং মার্কিন স্যাটার্ন ভি রকেটের প্রতিষ্ঠাতা বলে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।  

এদিকে রুডলোফকে তার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিতে বিচার বিভাগ থেকে অভিবাসন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানানো হয় বলে ১৯৪৯ সালের একটি মেমোর বরাত দিয়ে বলা হয়। আর এর ব্যর্থতা জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে বিচার বিভাগ ২০০৬ সাল থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া ক্ষেত্রে প্রতিরোধ তৈরি করে আসছে। টাইমস এ তথ্য জানায়। তবে মানহানির হুমকি স্বত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সংবাদপত্র ও অন্যান্য সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪:৩৮ ঘন্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।