ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নতুন আইন পাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নতুন আইন পাশ

সিউল: উত্তর কোরিয়ার গোলা হামলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে নতুন একটি আইন পাশ হয়েছে। দেশটির সীমান্তবর্তী দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার হামলার পর বৃহস্পতিবার নতুন এ আইনটি পাশ করা হয়।



মূলত উত্তরের পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ কোনো উসকানিমূলক আচরণ কঠোর হাতে দমন করতে এ আইন পাশ করা হয়েছে।

মতাসীন গ্র্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির আইনজীবীদের উত্থাপিত এ আইনটি পূর্ণ অধিবেশনে ২৬১-১ ভোটে পাশ হয়।

এর আগে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটি বুধবার আইনটি অনুমোদন করে।

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল উত্তর কোরিয়াকে তাৎণিকভাবে আলোচনায় বসতে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি নতুন এ আইনটি যোগ করার বিষয়ে জোর দেয়। তবে পরবর্তী এ দাবি প্রত্যাহার করে নেয় দলটি।

নতুন এ আইনে উত্তর কোরিয়ার হামলাকে ‘সশস্ত্র সেনা উসকানি’ বলে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে তা ১৯৯১ সালে দুই কোরিয়ার স্বারিত চুক্তির লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী উত্তরকে উসকানিমূলক আচরণ বন্ধ করাসহ মঙ্গলবারের আক্রমণের জন্য ক্ষমা চাওয়া ও এধরনের আর কোনো হামলা না করার অঙ্গীকারের দাবি জানানো হয়।

একইসঙ্গে এ আইনে উত্তর কোরিয়ার আর কোনো উসকানিমূলক আচরণে দক্ষিণ কোরিয়াকে দ্রুততার সঙ্গে এবং দৃঢ়ভাবে সেনাবাহিনীর সাহায্যে জবাব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করাসহ কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের শান্তি বিনষ্ট হয় এধরনের কাজে আর কাউকেই না জড়ানোর আহ্বান জানানো হয় আইনে।

উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার পশ্চিম সাগরের সীমান্তবর্তী ইয়োনপইয়ং দ্বীপে হামলা করে। এর জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও পরে গোলা ছুঁড়ে।

উভয় পরে গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত দু’জন নৌসেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ মোট চারজন নিহত হন।

১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের পর এটাই দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এবং বেসামরিক এলাকায় উত্তর কোরিয়ার প্রথম হামলার ঘটনা।

এর আগে নৌসেনাদের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও সীমান্তবর্তী এলাকার ভারী অস্ত্রধারী সেনাদের গোলাগুলির মধ্যেই দুই কোরীয়ার হামলা সীমাবদ্ধ ছিলো।  

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।