ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শপথে দাওয়াত পাননি যশোদা, এখনো অপেক্ষায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪
শপথে দাওয়াত পাননি যশোদা, এখনো অপেক্ষায় ভাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্ত্রী যশোদাবেন

ঢাকা: আর মোটে একদিন বাকি। ২৬ মে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি হাউসে নরেন্দ্র মোদীর শপথ।

কিন্তু একদা যোগী মোদী ঘর-সংসার ত্যাগ করতে গিয়ে স্ত্রীকে যে ত্যাগ করেছিলেন সেই স্ত্রী নির্বাচনের হলফনামায় সামান্য স্বীকৃতি পেলেও এখনও পেলেন না বাড়তি কোনো মর্যাদা। শপথের অনুষ্ঠানে যশোদাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি।

তবে এখনো সময় আছে, আর তাই এখনো অপেক্ষায় মোদীর স্ত্রী। মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানালে অবশ্যই আমি যাবো। মোদীর কাছে যাবেন কি? সে প্রশ্নের উত্তরেও অপেক্ষায় থাকার সুর, ‘সময় হলেই আমি তার কাছে যাব। ’ যশোদাবেন স্বামীর এ কৃতিত্বে খুবই উল্লসিত।

তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো মোদী তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ও মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়‍ায় সব মিলিয়ে তিনি দারুণ উল্লসিত।

উচ্ছ্বসিত যশোদাবেন বলেন, ‘আমি তার স্ত্রী হিসেবে গর্বিত। আমি তার জন্য প্রার্থনা করি যাতে তিনি আরও সামনের দিকে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারেন। ’

শুক্রব‍ার ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‍টিভি৯ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন উচ্ছ্বাসের কথা জানান ভারতের ১৫তম হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা যশোদাবেন।

ওই সাক্ষাৎকারে যশোদাবেন মনোনয়নপত্রে মোদী তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।

তিনি আরও বলেন, বিয়ের এতো বছর পর আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করায় আমি খুবই আনন্দিত। এতো বছর পর তিনি আমাকে মনে করায় আমি খুবই উল্লসিত।

যশোদা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় মোদী আমাকে প্রথমে স্বীক‍ৃতি না দিলেও তিনি আমাকে অস্বীকার করেননি। তিনি আমার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্যও করেননি। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। আমি তার স্ত্রী এবং ভবিষ্যতে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক টিকে থাকবে।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের সফলতাই তাকে আজ এতো দূর এনেছে বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্রপত্নী। মোদীর মেধা, প্রজ্ঞা কঠোর পরিশ্রম তাকে প্রভাবশালী নেতায় পরিণত করেছে বলে দাবি মোদীপত্নীর।  

পৃথক বসবাস করছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে, যশে‍াদাবেন বলেন, পৃথক বসবাস করলেও আমরা পৃথক নই। আমরা এক সাথেই আছি।

প্রসঙ্গত, যশোদাবেন ও মোদী কিশোর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এর পর এক পর্যায়ে বেছে নেন যোগীর জীবন। পরে সমাজ বা রাজনীতিতে ফিরলেও সংসারে ফেরেননি।

যশোদার মতে তার স্বামী রাজনীতিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে পরিবার ছেড়ে চলে যান। তিনি বলেন, মোদী দেশের সেবা করার জন্যই পরিবার ত্যাগ করেছেন। এই জন্যই আমরা পৃথক রয়েছি।

বাংলাদেশ সময় : ১১৫৩ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।