ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন

বেইজিং: বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চে জাপানকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে চীন। খবর বিবিসির।



২০১০-এর শেষ নাগাদ জাপানের অর্থনীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৭৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের, আর একই সময়ে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি। (১ ট্রিলিয়ন= ১০০০০০ কোটি ডলার)।

এর মধ্য দিয়ে চার দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জাপান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হলো।

এর কারণ ২০১০ সালে জাপান যেখানে রপ্তানি ও ভোক্তার চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চীন সেখানে পুরো বছর জুড়ে ব্যাপক উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

এমনকি দেশটির বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে যে গতিতে বেড়ে চলেছে তা বজায় থাকলে এক দশকের মধ্যে তা মার্কিন অর্থনীতিকে টপকে যাবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

বেইজিং ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরামর্শ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান জিকে ড্রাগোনোমিকসের টম মিলার বলেন, ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে চীনের অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতির আকার ধারণ করবে এটা বলা এখন খুবই বাস্তবসম্মত। ’

চীনের এ উত্তরণ বিষয়ে জাপানের অর্থমন্ত্রী কাওরো ইয়ুসানো বলেন, ‘অর্থনীতিতে তালিকায় স্থান অর্জন করা নয় বরং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। পার্শ্ববর্র্তী দেশ হিসেবে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জাপানের জন্য আনন্দের সংবাদ। ’

চীন বর্তমানে জাপানের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান সনি এবং হোন্ডা ও টয়োটার মতো গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বেইজিং ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

তবে তারপরও বড় ধরনের ঝুঁকি এড়াতে জাপানের বাইরের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও মুদ্রা ব্যবস্থার পরিবর্তনগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলেও ইয়ুসানো উল্লেখ করেন।

কারণ অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ইয়েনের মান ক্রমেই বেড়ে চলেছে, এমনকি গত ১৫ বছরের মধ্যে ডলারের তুলনায়ও এর মান বেড়েছে। এটি বাইরের দেশগুলোতে জাপানের পণ্যের চাহিদা হ্রাস করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে সার্বিকভাবে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে চললেও এবং গড়ে কিছু মানুষ ধনী হলেও এটা সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে না বলেও অধিকাংশ অর্থনীতিবিদরা মত প্রকাশ করেন।

জিকে ড্রাগোনমিকসের মিলার বলেন, ‘চীনের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় চার হাজার পাঁচশ ডলার, জাপানে সেখানে এ হার মাথাপিছু ৪০ হাজার ডলার। চীনের অধিকাংশ জনগণই দরিদ্র এবং বড় শহরগুলোর তুলনায় মফস্বলে বাস করেন। জাপানের অধিকাংশ জনগণই চীনের জনগণের তুলনায় অনেক অনেক বেশি ধনী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।