ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পৃথিবীর বর্বরতম স্বীকারোক্তি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪
পৃথিবীর বর্বরতম স্বীকারোক্তি!

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমের একটি রাজ্য ওহিও। কেনেথ ডগলাস এ রাজ্যেরই একজন অধিবাসী।

১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত হ্যামিলটন প্রদেশের একটি মর্গে রাতে কাজ করতেন তিনি। সেখানে মাতাল অবস্থায় ও উচ্চমাত্রায় ড্রাগ সেবন করে শতাধিক মরদেহের সঙ্গে দৈহিক মিলন করেছেন তিনি! আর একথা নির্বিকারভাবে অকপটে স্বীকারও করলেন মি. ডগলাস।

ঘটনা দু’একদিনের নয়। ২০১২ সালে ভুক্তভোগীদের পরিবার অভিযোগ করলে ডগলাস তিনটি মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে তার ডিএনএ পাওয়া যায় মৃত তরুণী কারেন রেঞ্জের শরীরে।

১৯৯২ সালে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণী মারা যান। তার ল‍াশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি ৬ষ্ঠ বিভাগীয় আদালত একটি তদন্ত কমিটি করে দায়িত্ব দেন এই মর্মে যে, সাবেক ময়নাতদন্তকারী কেন অভিযুক্ত ডগলাসকে সঠিকভাবে তত্ত্বাবধায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে।

ডগলাসের স্ত্রী তার সাক্ষ্যতে বলেন, তার স্বামী বাড়ি ফিরলে তিনি মদ ও মিলনের নমুনা পেতেন। ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসের কিছু আগের কথা। কারেন রেঞ্জের সঙ্গে ডেভিড যোসেফ স্টিফেন নামের এক বিক্রেতার পরিচয় হয়। স্টিফেন এই তরুণীর গলায় ছুরি মেরে হত্যা করে। পরের বছর স্টিফেনকে হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যার অভিযোগ মেনে নিলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন স্টিফেন।

আশ্চর্যের বিষয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার ডিএনএ পাওয়া যায় না। ২০ বছর পরে যে ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে তিনি মর্গ সহকারী কেনেথ ডগলাস। দীর্ঘ সময় ডগলাস মর্গ সহকারী হিসেবে কাজ করলেও হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দেন। বর্তমানে তার বয়স ৫৫ বছর। এ বছর মার্চ মাসে ডগলাস মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।
index_1
ওহিও’র আইন অনুযায়ী, তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয় এবং ১৯৮২ সালে রেঞ্জের শরীরে পাওয়া শুক্রের সঙ্গে এই ডিএনএ হুবহু মিলে যায়। কেবল রেঞ্জের বিষয়টিই নয়। এমন আরো ২৯টি মামলা রয়েছে প্রমাণের অপেক্ষায়। ডগলাসের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে তদন্ত কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে তিনি এ ধরনেরর আরো ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।

ডগলাসের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য যখন রেঞ্জের মরদেহ ল্যাবে রাখা হয়, তখন তিনি মরচুয়ারি থেকে অপরিষ্কার দেহ বের করেন। প্রায় চার ঘণ্টা মরদেহটি মরচুয়ারিতে রাখা হয় এবং এসময়ই ডগলাস মিলনে লিপ্ত হন।

হ্যামিলটন আদালতের প্রসিকিউটর জো ডেটারস বলেন, অতীতে মর্গে যারা কাজ করেছেন আমরা প্রত্যেকের সাক্ষ্য গ্রহণ করছি। কেনেথ ডগলাস অভিযুক্ত হলে তাকে কোনো ধরনের করুণা করা হবে না। মনোচিকিৎসা শেষে তিনি তার শাস্তি ভোগ করবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অতিকাম বিষয়টিকে একটি অসুখ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস (আইসিডি-১০, কোড-এফ৫২.৭)। পুরুষের ক্ষেত্রে এটিকে বলা হয় স্যাটারাইসিস।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।