ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিহারে মন্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৪
বিহারে মন্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ফেনীতে এক জনপ্রতিনিধিকে গুলি করে পুড়িয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এবার সে রকম ঘটনার চেষ্টা করা হলো ভারতের বিহার রাজ্যের সাসারামে।

অল্পের জন্য জ্যান্ত পুড়ে মরার হাত থেকে বেঁচে গেলেন বিহারের সংস্কৃতি মন্ত্রী বিনয় বিহারী। নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও রক্ষা পায়নি তাকে বহনকারী গাড়ি। পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় গাড়িটিকে।

তবে সবচেয়ে  বিষয় হলো, যখন এ ঘ্টনা ঘটে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই জেলার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার। ছিলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর ফাঁকে কিভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটলো তা নিয়েই এখন জল্পনা কল্পনা বিহার সহ ভারতের রাজনৈতিক মহলে।

সংবাদমাধ্যম জানায়ম, নবরাত্রি উপলক্ষ্যে পাটনা থেকে দেড়শ’ কিলোমিটার দূরে সাসারামে অবস্থিত তারাচান্দি মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিহারের সংস্কৃতি মন্ত্রী বিনয় বিহারি।

অনুষ্ঠানের দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও সাউন্ড সিস্টেমের কারণে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দর্শনার্থীরা। এ সময় মঞ্চ লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়তে শুরু করেন তারা। একটি চেয়ার এসে পড়ে পুলিশ সুপারের গায়ে। অতি উৎসাহী পুলিশ শুরু করে দর্শনার্থীদের লাঠিপেটা। কিন্তু এতে কাজ না হয়ে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। মঞ্চ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট ও পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে মন্ত্রীকে রেখেই পালিয়ে যান ডিসি এসপি সহ অন্যান্য অতিথিরা।

গণ্ডগোলের মাঝেই পেট্রোলের ক্যান হাতে একদল লোক খুঁজতে থাকে মন্ত্রীকে। তাকে না পেয়ে তার গাড়িতে আগুন লাগায় তারা। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে মঞ্চের নিচে লুকিয়ে পড়েন মন্ত্রী। সেখান থেকেই নিজের গাড়িকে জ্বলতে দেখেন তিনি।

স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন মন্ত্রী। পুলিশ এ ঘটনায় ৫শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ছয়জনকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।