ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শিশুর শৈশব বাঁচিয়ে শান্তির নোবেল জয় কৈলাশের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৪
শিশুর শৈশব বাঁচিয়ে শান্তির নোবেল জয় কৈলাশের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কৈলাশ সত্যার্থী, শিশু অধিকার কর্মী হিসেবে এতদিন পরিচিতি থাকলেও শুক্রবার থেকে তার বড় পরিচয় তিনি একজন ‘শান্তিকর্মী’। ভারতীয় নাগরিক কৈলাশ বিশ্ববাসীর কাছে এখন শান্তিকর্মী হিসেবে পরিচিত।



শিশু অধিকার বিষয়ে কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শুক্রবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি যৌথভাবে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে। এ পুরষ্কারে ভূষিত হওয়া অপর জন পাকিস্তানের শিশু শিক্ষা ও মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসূফজাই।

১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিদিশায় জন্মগ্রহণ করেন কৈলাশ সত্যার্থী। শিশু অধিকার রক্ষায় ১৯৯০ সাল থেকে লড়াই করে আসছেন তিনি। এ লক্ষ্যে ‘বাচপন বাঁচাও আন্দোলন’ (বিবিএ) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সংগঠন থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার শিশুকে পুনর্বাসিত করেছেন তিনি।

দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার বিবিএ। এটিই ভারতের প্রথম প্রতিষ্ঠান যা, ভারতসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করে।

১৯৯৮ সালে ‘গ্লোবাল মার্চ অ্যাগেনস্ট চাইল্ড লেবার’ ক্যাম্পেইন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সত্যার্থী। এছাড়া ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর চাইল্ড লেবার অ্যান্ড এডুকেশন’র সঙ্গে জড়িত তিনি। এছাড়া দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেন সত্যার্থী।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডকুমেন্টরি, টেলিভিশন সিরিজ, টক শো, জনসচেতনামূলক চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়বস্তু। এছাড়া বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া সত্যার্থীর উল্লেখযোগ্য পুরস্কার হলো- ২০০৯ সালে ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসি ‍অ্যাওয়ার্ড (যুক্তরাষ্ট্র), ২০০৮ সালে ‍আলফানসো কোমিন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড (স্পেন), ২০০৭ সালে মেডেল অব ইটালিয়ান সিনেট, ২০০৬ সালে ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড, ২০০২ সালে মিশিগান ইউনির্ভাসিটির দেওয়া ওয়ালেনবার্গ মেডেল, ১৯৮৫ সালে দ্য আর্চারনার ইন্টারন্যাশনাল পিচ অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।

শিশু অধিকার রক্ষায় ‘বাচপন বাঁচাও আন্দোলন’ (বিবিএ) সংগঠনটির পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-চাইল্ড লেবার ফ্রি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন, রাইটস টু এডুকেশন ক্যাম্পেইন, চাইল্ড ডোমেস্টিক লেবার ক্যাম্পেইন, মিসিং চিলড্রেন ক্যাম্পেইন ইত্যাদি।

বিবিএ’র তিনটি কৌশল রয়েছে। সেগুলো হলো- প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন।

স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা কৈলাশ সত্যার্থী দিল্লির বাসিন্দা। রয়েছে মেয়ের জামাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।