ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মাতৃত্বে অনাগ্রহ মার্কিন নারীদের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৫
মাতৃত্বে অনাগ্রহ মার্কিন নারীদের! ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: মার্কিন নারীদের অর্ধেকই মাতৃত্বের প্রতি অনাগ্রহের কারণে সন্তান নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে। ফলে দেশটিতে আগামী ৪০ বছরের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মাতৃত্বহীন নারীগোষ্ঠীর সৃষ্টি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ‘নারীদের মাতৃত্ব’ বিষয়ক এক জরিপের ফলাফলে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতি দুই বছর পরপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এই জরিপে যে সকল নারী দত্তক নিয়ে কিংবা প্রাকৃতিকভাবে মা হয়েছেন, তাদেরকে অন্তর্ভু্ক্ত করা হয় না বলে জানানো হয়।

জরিপে বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যের বয়সটাকে নারীদের ক্ষেত্রে ‘মাতৃত্বের বয়স’ বলা হয়। ২০১৪ সালে এই বয়সের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী সন্তান নেননি। ২০১২ সালে এ হার ছিল ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

জরিপে জানানো হয়, ১৯৭৬ সালের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃত্বহীন নারীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ওই বছর দেশটির মোট নারীর ১২ দশমিক ৫ শতাংশ সন্তান নিতে অনাগ্রহী ছিলেন।

২০১৪ সালে ২৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে বয়সী নারীদের ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশই মাতৃত্বহীন বলে জরিপে জানানো হয়। এই হার ১৯৭৬ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

এদিকে, ১৭ শতাংশ নারী সন্তানহীন থাকার প্রতিই বেশি আগ্রহী বলে জরিপে জানানো হয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

তবে, ঊনিশ বছরের মধ্যে কিছু সংখ্যক নারী মা হচ্ছেন, যার সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য। ২০১৪ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে বয়সী ৪ শতাংশ নারী মা হয়েছেন, যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।

নারীর ক্ষমতায়নে নিজেকে উন্নত করতেই বেশিরভাগ নারী সন্তান নিতে বিলম্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন প্রথমে। পরবর্তীতে বৈষয়িক কাজে আরো জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মা হতে অনাগ্রহের সৃষ্টি হয় বলে জরিপে জানানো হয়।

তবে কিছু সংখ্যক নারীর মা হওয়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও গর্ভকালীন চিকিৎসায় উচ্চ ব্যয়ের কারণে তাদের পক্ষে সন্তান নেওয়ার অনাগ্রহ জন্মে বলেও জানানো হয় মার্কিন জরিপে।

এদিকে, মা হননি এমন নারীর তিন-চতুর্থাংশ এখনো বিয়ে করেননি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৫
আরএইচ/আরআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।