ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নেপালে ৪২ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
নেপালে ৪২ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালকে সহায়তার জন্য ৪১ কোটি (৪১৫ মিলিয়ন) ৫০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সেই সঙ্গে বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে নেপালের অন্তত তিন মাস সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।



এদিকে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ধ্বংসস্তূপ থেকে শত শত মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) কাঠমান্ডু ছেড়ে যাওয়ার জন্য বাসের লাইনে দাঁড়ায় হাজার হাজার মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গাড়ি না পাওয়া তারা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।  

ভূমিকম্প কবলিত বিভিন্ন গ্রামে সহায়তা পৌঁছালেও তা ঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ত্রাণ সামগ্রী বহনকারী পরিবহণ আটকে সেখান থেকে মালামাল লুটের খবর পাওয়া গেছে।

২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। এর ২৬ মিনিট পর দ্বিতীয় এবং ৮ মিনিট পর তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এরপর গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন মাত্রার অন্তত ৬০টি কম্পন অনুভূত হয় বলে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যম।

এর আগে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের প্রভাবে আগামী ‘কয়েক সপ্তাহ’ ধরে নেপালে আরও বেশ কয়েকটি ভূকম্পনের আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে। এসময় ভূকম্পন পরবর্তী আঘাতগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে সাড়ে ছয় ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেপালে নিহতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

নিহতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন নেপাল প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা।

এদিকে, ভূমিকম্পের ফলে দেশটিতে ৭০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে দশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আশি লাখ মানুষ। এছাড়া দশ লাখ শিশুর ওপরও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

ভূমিকম্পের ফলে প্রায় দশ ফুট (প্রায় ৩ মিটার) দক্ষিণে সরে গেছে কাঠমান্ডু উপত্যকার তলদেশ। ২৮ এপ্রিল বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।

এর আগে, ১৯৩৪ সালে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহত হয় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, ১৯৮৮ সালে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় হিমালয়কন্যা। সেবার সাতশ’ ২২ জন নিহত হয় দেশটিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
আরএইচ/কেএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।