ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশদের রাজকন্যা বরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৫
ব্রিটিশদের রাজকন্যা বরণ

ঢাকা: প্রথমে ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজের রাজপ্রাসাদ ‘কেনসিংটন প্যালেস’র বিবৃতি, তারপর নগর ঘোষক টনি অ্যাপলটনের ঘণ্টা বাজিয়ে ঘোষণা। সঙ্গে সঙ্গে ‘টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, ‘ডাচেস অব ক্যামব্রিজ নিরাপদভাবে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন’!

রাজকন্যা বলে কথা! তাই আলো কেবল ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন দম্পতির কোলেই সীমাবদ্ধ থাকল না।

এরপর সে আলো লিন্ডো উইং আর বাকিংহাম প্যালেস ঘুরে শহরের সাধারণ মানুষ এবং অসংখ্য সংবাদকর্মীর বদৌলতে ছড়িয়ে গেল গোটা বিশ্বে।  

শনিবার (০২ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে রাজপরিবারে নতুন রাজকন্যার আগমন ঘটে। জন্মের সময় তার ওজন ছিল আট পাউন্ড ও তিন আউন্স (প্রায় পৌনে চার কেজি)।

এর আগে, ভোর ৬টায় ৩৩ বছর বয়সী কেটকে পশ্চিম লন্ডনের সেন্ট ম্যারি হাসপাতালের লিন্ডো উইংয়ে নেওয়া হয়। লিন্ডো উইং হচ্ছে হাসপাতালটির একটি বিশেষ বিভাগ যেখানে রাজপরিবার ও সেলেব্রেটিদের সন্তানরা জন্ম নেয়।

জন্মের পরপরই শুরু হয় রাজকন্যা বরণ। নতুন রাজকন্যার আগমনের পরপরই প্রথা অনুযায়ী, বাকিংহাম প্যালেসের সামনে দিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ চিত্রফলক। যেখানে রাজপরিবারে নতুন অতিথি আগমনের খবর স্থান পাচ্ছে।  

অন্যদিকে, লিন্ডো উইংয়ের সামনে রাজপরিবারের এ বিশেষ খবর নিয়ে নগর ঘোষক টনি অ্যাপলটন। একহাতে ঘোষণাপত্র, অন্যহাতে ঘণ্টা বাজিয়ে নগরবাসী তথা গোটা রাজ্যবাসীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন রাজকন্যার আগমন বার্তা।

ততক্ষণে লিন্ডো উইংয়ের সামনে সংবাদকর্মীতে সয়লাব। প্রতি মুহূর্তের সংবাদ গোটা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে অবস্থান নেওয়াও সারা।

পাশাপাশি যে যার সংবাদ মাধ্যমের জন্য বিশেষ সংবাদ সংগ্রহের তৎপরতা তো ছিলই।   

এদিকে, শহরবাসীও বসে নেই। যে যেখানে, যে অবস্থাতে ছিল সেখান থেকেই মেতে ওঠে আনন্দ উৎসবে। আর উদযাপনও দেখার মতো।

হাতে ‘ইটস এ প্রিন্সেস’ বা ‘বেবি গার্ল’ লেখা বাহারি প্লাকার্ড। লিন্ডো উইংয়ের চারদিক দিয়ে শত শত মানুষের ভিড়।

কেউ পরেছেন দেশের পতাকা শোভিত পোশাক। কেউবা আনন্দে হাতে পতাকা নিয়ে পরিবারসহ রাজপথে নেমে পড়েছেন। একটি রাগবি দলকে দেখা যায় তাদের জার্সি পরে আনন্দ সংগীত গাইতে।

এছাড়াও নতুন অতিথির আগমনে একটি বিশেষ উদযাপনের কথা না বললেই নয়। রাজকন্যাকে বরণ করে নিতে লন্ডনের রয়্যাল টাওয়ারে জ্বেলে দেওয়া হয় গোলাপি আলো।   

এর মধ্যে নতুন রাজকন্যার নাম নিয়েও শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রিটেনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম এলিজাবেথ, চার্লট, অ্যালিস ও ভিক্টোরিয়া। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় নাম আর্থার ও জেমস।   দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী রাখা হয় রাজকুমারীর নাম।

যত বেলা বাড়তে থাকে লিন্ডো উইংয়ের চারদিকে ততই বাড়তে থাকতে সাধারণ মানুষের ভিড়। আনন্দ-উৎসব তো চলবেই। তারপরও হাসপাতালের চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।  

এর আগে, ২০১৩ সালের ২২ জুলাই কেট ও প্রিন্স উইলিয়াম দম্পতির কোলজুড়ে আসে তাদের প্রথম সন্তান প্রিন্স জর্জ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এসএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।