ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের নির্বাচন

ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি টোরি-লেবার-লিব ডেম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৫
ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি টোরি-লেবার-লিব ডেম ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এরপরই যুক্তরাজ্যের জনগণ ৫৬তম জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।



বৃহস্পতিবার (০৭ মে) অনুষ্ঠিতব্য নির্বচান উপলক্ষে বুধবার (০৬ মে) শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত সকল প্রার্থী। প্রধান তিন দলের শীর্ষ নেতাই চষে বেড়াচ্ছেন দেশের এ-মাথা থেকে ও-মাথা।

ছয়শ’ ৫০টি আসনের হাউজ অব কমন্স নির্বাচনে পাঁচশ’ ৩৩টি আসনেরই প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন ইংল্যান্ডের জনগণ। বাকি আসনগুলোর ৫৯টিতে স্কটল্যান্ড, ৪০টিতে ওয়ালস ও ১৮টিতে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

সংসদ নির্বাচন বিল-২০১১ এর অধীনে অনুষ্ঠিত হতে চলা এবারের নির্বাচনেও বরাবরের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ ও বিরোধী দল লেবার পার্টি।

সর্বশেষ দিনের প্রচারণার সময় বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে কনজারভেটিভ পার্টি। আর ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে ডেভিড ক্যামরনের ক্ষমতাসীন দলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টি। ১৯২০ সালের পর থেকেই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এই দুই দল অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

এদের তূলনায় অপেক্ষাকৃত কম ১৪ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নাইজেল ফারাজের ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি (ইউকিপ)। আর ৯ দশমিক ৪ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে চতূর্থ অবস্থানে রয়েছে হাউজ অব কমন্সের তৃতীয় শক্তিধর দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।

১৯২২ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী সকল নেতই প্রধান দুই দলের কোনো না কোনোটির সদস্য। সর্বশেষ ২০১০ সালের নির্বাচনে তিনশ’ ৭ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে ডেভিড ক্যামরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। অন্যদিকে, দুইশ’ ৫৮ আসন নিয়ে এড মিলিব্যান্ডের নেতৃত্বে বিরোধী দল গঠন করে লেবার পার্টি।

১৮৩৪ সালে টরি পার্টি থেকে জন্ম লাভ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। এই দল থেকে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, যাদের নাম ইতিহাসে সংরক্ষিত থাকবে চিরকাল। এদের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ও স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচার উল্লেখযোগ্য।

অপরেদিকে, ১৯০০ সালে সমাজতান্ত্রিক দলগুলো থেকে জন্ম নেওয়া লেবারপার্টিও ১৯২০ সালের পর যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন, টনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউন এই দলের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বর্তমানে নিক ক্লেগের নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সংক্ষেপে লিব ডেম। ১৯৮৮ সালে লিবারেল পার্টি ও স্যোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিপি) একীভূত হয়ে গঠিত হয় এই দল। ২০১০ সালের নির্বাচনে দলটি ৫৭টি আসনে জয় পেয়ে হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় শক্তিধর দল হিসেবে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে।

অপরদিকে, বর্তমানে আলোচনায় থাকা ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি (ইউকিপ) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন এ দলটি ২০১০ সালের নির্বাচনে হাউজ অব কমন্সে দু’টি আসনে জয় লাভ করে।

** শেষ দিনে যুক্তরাজ্য নির্বাচনের প্রচারণা

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।