ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরার পাকিস্তান প্রধান আল-কায়েদার লোক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৫
আল জাজিরার পাকিস্তান প্রধান আল-কায়েদার লোক! আহমদ মুয়াফ্ফাক জায়দান / ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: আল জাজিরার পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার লোক বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীটির সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার নেওয়া এই সাংবাদিককে সন্ত্রাসী তালিকায়ও রেখেছে দেশটি।



কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করা এই সাংবাদিক হলেন আহমদ মুয়াফ্ফাক জায়দান। তিনি সিরিয়ান নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসএ) বেআইনি নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে পশ্চিমা একটি সংবাদ সংস্থা। স্নোডেনের ফাঁস করা জায়দানের ওপর কিছু গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির তথ্য-প্রমাণ এবং তাকে সন্ত্রাসী চিহ্নিত ঘোষণার উপাত্ত নিজেদের কাছে আছে বলেও দাবি করে সংবাদ সংস্থাটি।

সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কায়েদার বার্তাবাহকদের চিহ্নিত করতে মেটাডাটা (কে, কাকে, কখন, কোন কম্পিউটার বা সার্ভার থেকে ইমেইল পাঠাচ্ছে এবং কতোবার কোথা থেকে কার পক্ষ থেকে সেসব ইমেইলের উত্তর আসছে- এ ধরনের তথ্য থাকে এ ডাটায়) বিশ্লেষণ করে জায়দানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সদস্য বলে চিহ্নিত করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

জায়দান তালিবান ও আল-কায়েদার ওপর বিশেষ কিছু প্রতিবেদন করে আলোচনায় আসেন। তিনি অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও শীর্ষ সন্ত্রাসীর সাক্ষাৎকারও নেন, এদের মধ্যে নিহত ওসামা বিন লাদেনও ছিলেন।

সংবাদ সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১২ সালের জুন থেকে মার্কিন গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়ে যান জায়দান। ২০১২ সালের জুনের কোনো একদিন এনএসএ’র একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনায় জায়দানের ছবি, নাম ও সন্ত্রাসী পর্যবেক্ষণ তালিকার নাম্বার দেখানো হয়। সেখানে তাকে আল-কায়েদা ও মুসলিম ব্রাদারহুডের (মিশরের নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন) সদস্য বলে জানানো হয়।

পরে অবশ্য স্নোডেনের পক্ষ থেকে এ তথ্য পাওয়ার পর সংবাদ সংস্থাটি জায়দানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আল-কায়েদা বা ব্রাদারহুডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ একেবারে নাকচ করে দেন।

এরপর আল জাজিরার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জায়দান বলেন, আমার পেশাগত জীবনের দীর্ঘ সময় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিপজ্জনকভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে কেটেছে। স্বভাবতই এ অঞ্চলের প্রধান প্রধান নেতাদের সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে আমাকে- আর এটা আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনেরই অংশ।

জায়দানকে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করার বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং আল-কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেনের ওপর বেশ কিছু বইয়ের লেখক পিটার বার্গেন বলেন, আমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাকে (জায়দান) ভালোভাবে চিনি। চমৎকার একজন সাংবাদিক তিনি। তার এমন কিছু যোগাযোগ ও প্রবেশ-ক্ষমতা আছে, যেটা পশ্চিমা সাংবাদিকদের নেই।

বার্গেন বলেন, আল কায়েদাকে নিয়ে কাজ করার কারণে যদি কাউকে সন্দেহ করতে হয়- তবে আপনি তাকে সন্দেহ করতেই পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।