ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সুদানে চার সংবাদপত্রের প্রকাশনা স্থগিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
সুদানে চার সংবাদপত্রের প্রকাশনা স্থগিত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে চারটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশনা লাইসেন্স স্থগিত করে দিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সার্ভিস (এনআইএসএস)।

সোমবার (২৫ মে) সংবাদপত্রগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয় বলে দেশটির সম্পাদকমণ্ডলী ও এনজিও’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।



এছাড়া ওই চারটি সংবাদপত্রসহ মোট নয়টির সোমবারের (২৫ মে) সার্কুলেশনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জার্নালিস্ট ফর হিউম্যান রাইটস সুদান (জেএইচআর) নামের একটি এনজিও।

যেসকল পত্রিকার সোমবারের সার্কুলেশন বাজেয়াপ্ত হরা হয়েছে, সেগুলো হল- আল-সুদানি, আল-জারিদা, আখির লাহজা, আল-ইনতিবাহা, আল-রাই আল-আম, আল-তায়ার, আল-খার্তুম ও আল-ইয়ম আল-তালি। এগুলোর সবগুলোই জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।

পরবর্তীতে এই নয়টার মধ্যে চার পত্রিকার সম্পাদককে টেলিফোনে প্রকাশনার লাইসেন্স স্থগিতের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় এনআইএসএস-এর পক্ষ থেকে।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া পত্রিকাগুলো হল- আল-খার্তুম, আল-জারিদা, আখির লাহজা ও আল-ইনতিবাহা।

আল-খার্তুমের সম্পাদক আল-বাগির আহমেদ আব্দাল্লাহ জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা স্থগিত করা হয়েছে।

আব্দাল্লাহকে এনআইএসএস জানায়, ভোক্তা অধিকার ফোরামের ওপর এক প্রতিবেদনের কারণে আল-খার্তুমের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে একজন বক্তা স্কুল ও নার্সারির ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের বাসে তাদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

সরকারপন্থি দৈনিক আখির লাহজা ও স্বাধীন পত্রিকা আল-জারিদারের প্রধান সম্পাদকরাও তাদের প্রকাশনার লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে জার্নালিস্ট ফর হিউম্যান রাইটস সুদান (জেএইচআর)। তবে তাদের প্রকাশনা কেন স্থগিত কার হল, সে বিষয়ে কোনো কারণ জানায়নি জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সার্ভিস (এনআইএসএস)।

আল-ইনতিবাহার ব্যবস্থাপনা সম্পাদকও প্রকাশনা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তবে তাকেও কোনো কারণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

সুদানে প্রায়ই বিভিন্ন প্রতিবেদনের জন্য সংবাদপত্রের সার্কুলেশন বাজেয়াপ্ত করে এনআইএসএস-এর কর্মকর্তারা। তবে সংবাদমাধ্যমের ওপর এই বিপুল আক্রমণ এবারই প্রথম।

প্রায়ই জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সার্ভিসের (এনআইএসএস) পক্ষ থেকে চাপ ও হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সাংবাদিকরা। সেই সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সুচকে সুদান বরাবরই একদম নিচের দিকে থাকে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সুদানের জাতীয় নির্বাচনে ৯৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। তিনি সরকার গঠনের পর এ বছর এ নিয়ে ১৪টি পত্রিকার প্রকাশনা স্থগিত করা হল।

অধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট ওমরের সরকার শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যম ও সিভিল সোসাইটির কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে আসছে।

২০১১ সালে সুদান থেকে পৃথক হয়ে দক্ষিণ সুদান নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। দাপ্তরিকভাবে দেশটির নাম হয় গণপ্রজাতন্ত্রী দক্ষিণ সুদান। আর উত্তরাংশের নাম আগের মতোই গণপ্রজাতন্ত্রী সুদান রয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।