ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষের জন্য দায়ী গাছ কেটে ফেলল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০
লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষের জন্য দায়ী গাছ কেটে ফেলল ইসরায়েল

আডায়সেহ: ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে বুধবার সংঘর্ষের জন্য দায়ী গাছ উপড়ে ফেলল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বার্তাসংস্থা এএফপি’র একজন প্রতিনিধি ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।



এর আগের দিন মঙ্গলবার সীমান্তে গাছ কাটা নিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লেবাননের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওই সশস্ত্র সংঘর্ষে লেবাননের দুই জন সেনা সদস্য, একজন সাংবাদিক ও ইসরায়েলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হন।

উল্লেখ্য, লেবানন ভূখন্ডে ইসরায়েলি নজরদারি বাধাগ্রস্থ করছিল এ কারণেই ইসরায়েল সীমান্তে গাছ কাটার অভিযানে নামে। আডায়সেহ গ্রামের কাছে গাছ উপড়ানোর সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ক্রেন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ক্রেনটি বিতর্কিত সীমান্ত এলাকার বেষ্টনির কাছে চলে যায়। এরপর উপড়ানো গাছগুলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ফেলা হয়।

একই সময়ে মঙ্গলবার শুরু হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে জেরুজালেমে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছে। ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সংঘর্ষের পর এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “মন্ত্রীরা হামলার পরিণতি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন। এই হামলার জন্য লেবাননের সরকার দায়ী। ”

তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়টি পরিষ্কার যে উভয়পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য লেবাননের সরকারই দ্বিগুণ পরিমাণ দায়ী। লেবাননের সেনারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অবস্থান নিয়ে আমাদের সেনাদের উপর গুলিবর্ষণ করে। আমরা এর জবাব দিতে বাধ্য হই। ”

এ মুহূর্তে জাতিসংঘের সেনাবাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। বুধবার একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উপড়ে ফেলা গাছগুলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে দেখা গেছে।

হিজবুল্লাহর প্রধান শেখ হাসান নাসরুল্লাহ তাঁর অনুসারীদের প্রতিক্রিয়া না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে তাঁরা চুপচাপ বসে থাকবেন না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি এ মুহূর্তে ইতালিতে রয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দকে ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়পক্ষকেই সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।